যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে কর সংস্কারে জোর দিতে হবে

ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার।
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। তিনি বলেন, এ ধরনের অর্থনৈতিক অঞ্চল বাংলাদেশের জন্য ভালো নিয়ামক (সেলিং পয়েন্ট)। তবে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে শ্রমবিরোধ–সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর সমাধান করা প্রয়োজন। এ দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাড়াতে হলে কর–সংক্রান্ত সংস্কারের পাশাপাশি বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করার পরামর্শও দেন তিনি।

গতকাল রোববার আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচেম) আয়োজিত এক অনলাইন সভায় আর্ল আর মিলার এসব কথা বলেন। দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটি চমৎকার ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল রয়েছে। দুই দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়াতে এই ব্যবসায়ী সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

আর্ল আর মিলার জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

অ্যামচেম আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক: উন্নত দেশে রূপান্তর’ শীর্ষক এই অনলাইন সভায় সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ সভাপতিত্ব করেন। এতে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন জোয়ানি ওয়াগনার, অ্যামচেমের সহসভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ কামালসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের সম্ভাবনার পুরোটা ব্যবহার করা যায়নি। অথচ প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো পুরোপুরি এই সুযোগ নিয়েছে।

অ্যামচেম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ৫২তম বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার হলো যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ৯০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ২০০৯ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৪১০ কোটি ডলার। বাণিজ্য আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।