রপ্তানি আয়ের নতুন লক্ষ্যমাত্রা ৫,১০০ কোটি ডলার

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা থেকে তা ৩০০ কোটি ডলার বেশি। বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।  

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আজ মঙ্গলবার রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানি আয়ের এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে পণ্য খাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার, আর সেবা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৭৫০ কোটি ডলার।

বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ, ফিনিশ লেদার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাইফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি চলমান থাকলেও রপ্তানিমুখী খাতগুলো যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তাতে এই লক্ষ্যমাত্রা খুবই বাস্তবসম্মত এবং অর্জন করার মতো। কারণ, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ নাম দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে বিশেষ নীতি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা আছে। এ ছাড়া রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যকরণে সরকার উদ্যোগী হয়েছে।

ইপিবি গতকাল সোমবার পরিসংখ্যান প্রকাশ করে জানিয়েছে, সদ্য বিদায়ী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যদিও তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ কম। তবে আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।