সোনা চোরাচালান ঠেকানো চ্যালেঞ্জ

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম
ছবি: সংগৃহিত

সোনা আমদানির সুযোগ দিয়েও চোরাচালান ঠেকানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি বলেন, অবৈধ নানা কাজের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) মাধ্যম হিসেবে সোনা ব্যবহৃত হয়। তবে কী ধরনের অবৈধ কাজে সোনা ব্যবহৃত হচ্ছে, তা উল্লেখ করেননি তিনি। সোনা চোরাচালান ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

গতকাল শনিবার সেগুনবাগিচার এনবিআর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত ইএফডি লটারির ড্র অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সোনা আমদানির সুযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, সোনা আমদানির বিষয়ে দুই বছর ধরে নানা ধরনের নীতি সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছে এনবিআর। লক্ষ্য ছিল, বৈধ পথে সোনা আমদানি নিশ্চিত করা। কিন্তু সোনা আমদানিতে সাড়া মিলছে না, আবার চোরাচালানেও ভাটা পড়েনি।

সোনা আমদানি কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সে লক্ষ্যে আগামী বাজেটে আরও কিছু করা যায় কি না, সেই চেষ্টা করা হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।

অনুষ্ঠানে ফেব্রুয়ারি মাসের ইএফডি লটারি অনুষ্ঠিত হয়। এবারের লটারিতে যিনি প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন, তাঁর কুপন নম্বর হলো ০০১৩২১এইচএক্সওআরসিকিউএন২৪১। প্রথম বিজয়ী এক লাখ টাকা পুরস্কার পাবেন। দ্বিতীয় বিজয়ীর কুপন নম্বর ০০০৮২১ইএফডব্লিউকেজেডিটি৩৯২। তিনি পাবেন ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ১০১ জন বিজয়ীকে ভ্যাটের লটারির পুরস্কার দেওয়া হয়। ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে ভ্যাটের চালান দেওয়া হয়, এমন ক্রেতাদের মধ্যেই লটারি হয়।