স্বাস্থ্যবিধি না মানায় পল্টনের চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় রাজধানীর পল্টনে অবস্থিত চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে মার্কেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন। অন্য কোনো মার্কেট যদি স্বাস্থ্যবিধি না মানে, সেগুলোও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, মার্কেটে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক ছিল না। দোকানদারদের মুখেও মাস্ক ছিল না। মার্কেটের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছিল না। ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’–এর ব্যানার ছিল না। প্রবেশমুখে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ছিল না। এক গেট দিয়ে ঢুকে আরেক গেট দিয়ে বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কোনো ধরনের ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। যে গেট দিয়ে ঢুকছে, আবার সেই গেট দিয়ে বেরও হচ্ছে। এসব কারণে মার্কেটটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মার্কেট কর্তৃপক্ষ যদি এসব স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারে, সে ক্ষেত্রে বিকেলের মধ্যেই মার্কেট খুলে দেওয়া হবে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ‘যেহেতু দোকানমালিকদের রুটিরুজির বিষয় আছে, আমরাও চাই মার্কেট খুলে দিতে। তবে মার্কেট খোলার আগে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। তারা চেষ্টা করছে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য। যদি পারে, তাহলে আজকেই মার্কেট খুলে দেওয়া হবে।’
চায়না টাউন মার্কেট যে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না, তা গত কয়েক দিনের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ সকালে ওই মার্কেটে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানার সত্যতা মেলে।
অবশ্য দোকান মালিক সমিতি বলেছে, তাদের একার পক্ষে দুই কোটি মানুষের এই শহরে সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা প্রয়োজন। হেলাল উদ্দিন বলেন, সবাই মিলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সমন্বয়ে আজ থেকে বিভিন্ন মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনার কথা রয়েছে। তা ছাড়া সব মার্কেটে পুলিশ থাকবে। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জরিমানা করা হবে বলে জানা গেছে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, ‘আমরা অন্য মার্কেটেও যাব। চায়না টাউন মার্কেট বন্ধ করে দেওয়ার মাধ্যমে সব মার্কেটকে কঠোর বার্তা দেওয়া হলো। কেউ যদি শর্ত পূরণ করতে না পারে, তাহলে মার্কেট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কঠিন সময় পার করছি। একক প্রচেষ্টায় নয়, সবাইকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা জরুরি।’