জন্মনিরোধক ব্যবহার কম করেন বরিশালের পুরুষেরা

প্রতীকী ছবি

ঢাকা বিভাগের পুরুষেরা বেশি জন্মনিরোধক (কনডম) ব্যবহার করেন। দেশজুড়ে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহার করেন এমন পুরুষের মধ্যে ঢাকা বিভাগেই সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পুরুষ জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন। আর বরিশাল বিভাগের পুরুষের মধ্যে জন্মনিরোধক ব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে কম। এই হার ৫ শতাংশের মতো।

সর্বশেষ বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে এখন গড়ে ১০ শতাংশের মতো পুরুষ শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন। এক বছর আগে এই হার ছিল ৬ দশমিক ৬ শতাংশ। তার মানে, পুরুষদের এর ব্যবহারের আগ্রহ বেশ বেড়েছে।

শারীরিক সম্পর্কের সময় পুরুষদের জন্মনিরোধক ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে সরকারের পক্ষ থেকেও বিনা পয়সায় তা বিতরণ করা হয়। গ্রাম এলাকায় জন্মনিরোধক বেশি বিতরণ করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ৮৩ লাখ ৫৯ হাজার ৯টি জন্মনিরোধক সরবরাহ করেছে সরকার। প্রতি মাসে গড়ে ৮৫ লাখ ৭৪ হাজার সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া বাজার থেকে কিনেও এসব ব্যবহার করেন শহর-গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষ। সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি সাত ধরনের জন্মনিরোধক বিক্রি করে থাকে। দেশে এর চাহিদার প্রায় ৬২ শতাংশই সরবরাহ করে এই কোম্পানি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, ঢাকা, খুলনা ও রাজশাহী বিভাগে গড়ে ১০ শতাংশের বেশি পুরুষ জন্মনিরোধক ব্যবহার করেন। বাকি বিভাগে এই হার ১০ শতাংশের নিচে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর ব্যবহার বেড়েছে। প্রতি তিনজনে দুজন কোনো না কোনো জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহার করেন। দেশে এখন ৬৫ দশমিক ৬ শতাংশ দম্পতি জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রী ব্যবহার করেন। পাঁচ বছর আগে এই হার ছিল সাড়ে ৬২ শতাংশ। জন্মনিয়ন্ত্রণসামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় খাওয়ার বড়ি বা পিল। এই হার ৬০ শতাংশের কাছাকাছি। এরপর জন্মনিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ইনজেকশনের ব্যবহার।