ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে ১৪–১৭ টাকা কেজিতে

পেঁয়াজ
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির প্রথম দিন গতকাল সোমবার দেশের তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে ১ হাজার ৪০৭ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে গড়ে প্রায় সাড়ে ১৫ টাকায়। নয়জন ব্যবসায়ী প্রথম দিন এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। আজ মঙ্গলবারও স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির খবর পাওয়া গেছে।

প্রথম দিন তিনটি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এই তিনটি বন্দর হলো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর। তিন স্থলবন্দরের কাস্টমস স্টেশনের তথ্যে দেখা যায়, প্রতি চালানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ১৩ থেকে ১৬ সেন্টে। ডলারের বিনিময়মূল্য ১০৮ টাকা ১৭ পয়সা ধরে মানভেদে আমদানিমূল্য দাঁড়ায় ১৪ থেকে ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। গড়ে দাম পড়ে কেজি প্রতি প্রায় সাড়ে ১৫ টাকা। প্রতি কেজিতে করভার গড়ে সাড়ে ৩ টাকা। এ হিসাবে শুল্ক-করসহ পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ পড়ে প্রায় ১৯ টাকা।

জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের কর্ণধার হারুন-উর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, গরমের কারণে পেঁয়াজ নষ্ট হচ্ছে বেশি। সবকিছু ধরেও প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়তে পারে। ভোক্তা পর্যায়ে এই পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।

আমদানি করা পেঁয়াজ এখনো খুচরা বাজারে সেভাবে বাজারজাত হয়নি। কাল-পরশুর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারজাত হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছেন আমদানিকারকেরা।

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রথম আলোকে বলেন, ভারতীয় পেঁয়াজ এখনো খাতুনগঞ্জে বাজারজাত শুরু হয়নি। তবে আমদানির প্রভাবে দেশীয় পেঁয়াজের দাম ৮০-৮৫ থেকে কমে এখন ৫০-৬০ টাকায় নেমে এসেছে।

পেঁয়াজ আমদানি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংঘনিরোধ বিভাগ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতি নিয়েই ব্যাংকে ঋণপত্র খুলতে পারেন আমদানিকারকেরা। কৃষকদের স্বার্থে গত মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করে দেয় কৃষি বিভাগ। তাই গত ১৫ মার্চ থেকে ৪ জুন পর্যন্ত দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

আরও পড়ুন