আরও বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি

মূল্যস্ফীতিপ্রতীকী ছবি

মে মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার আবার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ; আগের মাস এপ্রিলেও তা ছিল দুই অঙ্কের ঘরে-১০ দশমিক ২২ শতাংশ।

চার মাস পর গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের ঘরে ওঠে; পরের মাসে তা আরও বাড়ল।  

এদিকে মে মাসে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হারও কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ; আগের মাস অর্থাৎ এপ্রিলে যা ছিল ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বাড়লেও মে মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ হয়েছে; আগের মাস অর্থাৎ এপ্রিলে এই মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।  

দুই বছর ধরে বাংলাদেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এ সময় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ শতাংশের বেশি। মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও লাভ হয়নি, বরং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ।

বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর; ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্তরা সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়ে। গত দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে।  

এদিকে প্রকৃত  মূল্যস্ফীতি বিবিএসের তথ্যের চেয়ে বেশি বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।