অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা কেন এত দীর্ঘ
বাজেট বক্তৃতা ক্রমেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনটি হয়ে যাচ্ছে বাজেট-জনসভার মতোই। তাতে বাজেট বোঝা কি সহজ হচ্ছে, নাকি আরও জটিল হয়ে পড়ছে। সংস্কার কি কেবল অর্থনীতিরই দরকার? নাকি বাজেট উপস্থাপনার ধরনও বদলানো দরকার।
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের একটি রেকর্ড আছে। ২০২০ সালে তিনি ২ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ধরে বাজেট বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেই বক্তৃতা এতই দীর্ঘ ছিল যে শেষ দুই পৃষ্ঠা আর পড়তেই পারেননি, অসুস্থ হয়ে যান। বাজেটের মাঝেও তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী মনমোহন সিং সেই বাজেট নিয়ে বলেছিলেন, বক্তৃতা এতটাই দীর্ঘ যে তা আত্মস্থই করাতে পারেননি।
কলকাতা চলচ্চিত্রের নায়িকা নুসরত জাহান তৃণমূলের একজন সংসদ সদস্য। তিনি সে সময় মন্তব্য করেছিলেন, এই বাজেট তো সিনেমাকেও হার মানাবে। কারণ, সিনেমাও এখন এত দীর্ঘ হয় না। নানা সমালোচনার কারণেই হয়তো নির্মলা সীতারমণ এরপর থেকে বাজেটের আকার অনেকটাই কমিয়েছেন। তাঁর এবারের বাজেট বক্তৃতার দৈর্ঘ্য ছিল ৮৭ মিনিট।
অন্যদিকে বাজেট বক্তৃতা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে বাংলাদেশে। এবারের বাজেট শুনতে সময় লেগেছে প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিজে পড়লে হয়তো সময় আরও বেশি লেগে যেত। তবে এবার যাঁরা বাজেট বক্তৃতা পুরোটা শুনেছেন, তাঁরা সিনেমার একটা আমেজ ঠিকই পাবেন। পুরো বাজেট বক্তৃতা আগে থেকে রেকর্ড করে অডিও-ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়েছে। সিনেমার মতোই বিষয়বস্তু অনুযায়ী যন্ত্রসংগীত যুক্ত করা হয়েছে তাতে। সুন্দর কণ্ঠের অধিকারী একজনকে দিয়ে পুরো বাজেট রেকর্ড করে দেখানো বা শোনানো সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ঘটনা।
এখন কেউ বলতেই পারেন এটা ডিজিটাল বাংলাদেশ, আর সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করা। সুতরাং বাজেট বক্তৃতা তো এ রকমই হবে। বিশ্বের একমাত্র ঘোষিত ‘স্মার্ট নেশন’ হচ্ছে সিঙ্গাপুর। তারা ২০১৪ সালে স্মার্ট নেশন হতে চাওয়ার ঘোষণা দেয় এবং সে অনুযায়ী কাজও করেছে।
ইউটিউবের কল্যাণে দেশটির অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওংয়ের চলতি বছরের বাজেট বক্তৃতা যে কেউ দেখতে পারবেন। তিনি পুরো বক্তৃতা পড়েই শোনালেন। অনেক দেশের অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা এখন পুরোটাই ইউটিউবে পাওয়া যায়। এমনকি ঘানার অর্থমন্ত্রী কেন অফরি-আত্তাকেও দেখা গেল বাজেট বক্তৃতা পুরোটা পড়তে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, এই একটা বিষয়ে বাংলাদেশ পথিকৃৎ। এটাই সম্ভবত স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রার প্রথম মাইলস্টোন।
বক্তৃতা কেন এত লম্বা
পৃষ্ঠার সংখ্যার দিক থেকেও এবারের বাজেট বক্তৃতাই বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা। মূল বক্তৃতা ১৯৮ পৃষ্ঠার, পরিশিষ্টসহ আছে ২৪৮ পৃষ্ঠা। এর আগের বক্তৃতাটি ছিল ২০৮ পৃষ্ঠার, আর ২০২১-২২ অর্থবছরেরটা ১৯২ পৃষ্ঠার। দেশে বাজেট বক্তৃতার দৈর্ঘ্য যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে হয়তো ওজন মাপার যন্ত্র নিয়েই বসতে হবে।
অথচ বাজেট বক্তৃতা কিন্তু আগে এত লম্বা ছিল না। দেশের প্রথম বাজেটটি দিয়েছিলেন প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। সেই বাজেটে ছিল মোট ৫৭টি অনুচ্ছেদ। অনুচ্ছেদের কোনোটাই তেমন লম্বা ছিল না। আর গত বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের যে বাজেট দিয়েছেন, তাতে অনুচ্ছেদ আছে ৩২০টি। এর কোনো অনুচ্ছেদই সংক্ষিপ্ত নয়। দেশের দ্বিতীয় বাজেট অবশ্য ছিল প্রথমটির তুলনায় আরেকটু লম্বা, অনুচ্ছেদের সংখ্যা ৭৬। তাজউদ্দীন আহমদের দেওয়া শেষ বাজেটের অনুচ্ছেদ ছিল ৭২টি। আর বাজেট বক্তৃতায় প্রথম পরিবর্তনটি আসে ১৯৭৭ সালে।
তখন রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ছিলেন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তিনি বাজেট বক্তৃতাকে দুটি ভাগ করেছিলেন। প্রথম পর্বে ছিল বাজেট কার্যক্রম, আয়-ব্যয়ের হিসাব এবং সরকার কী কী করছে, কেন করছে তার বিবরণ। দ্বিতীয় পর্বে রাজস্ব কার্যক্রম। দুই ভাগে তৈরি বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপনের এই ধারা চলেছে ২০০৪-০৫ অর্থবছর পর্যন্ত।
এম সাইফুর রহমান ৯ জুন ২০০৫-০৬ অর্থবছরের যে বাজেট বক্তৃতা দেন, সেটি দুই পর্বে বিভক্ত ছিল না। এর আগপর্যন্ত প্রথম পর্ব উপস্থাপনের পর বিরতি দেওয়া হতো। বিরতির পর শুরু হতো রাজস্ব কার্যক্রম উপস্থাপন। ততক্ষণে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যেত। বাজেটে যেসব শুল্ক পরিবর্তনের কথা থাকবে, তার অপব্যবহার যাতে কেউ না করতে পারে, এ জন্যই লেনদেন বন্ধের পরেই বাজেটের রাজস্ব কার্যক্রম উপস্থাপন করা হতো। তবে আবার বাজেট বক্তৃতা এক পর্বে চলে এলেও এর আকার দীর্ঘ ছিল না। ছোট ছোট অনুচ্ছেদের ৮৭টি অনুচ্ছেদ ছিল সেই বাজেটে।
বাজেট বক্তৃতা লম্বা হতে শুরু করে মূলত ২০০৯ সালে। শুরুটা তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হাত ধরে। এরপর থেকে বাজেট বক্তৃতা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে লম্বা বাজেট বক্তৃতা আসলে কতটা পাঠযোগ্য। সবচেয়ে বড় কথা, সরকারের প্রকৃত অগ্রাধিকার কী, মানুষের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী কী করছেন, করের যে প্রস্তাব তা কতটা সহজবোধ্য, এর প্রভাব কী—এগুলোই আসল কথা। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে সরকার আসলে কতটা স্বচ্ছতার সঙ্গে আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করেছে এবং সাধারণ মানুষ তা কতটা বুঝতেও পারছে।
বাজেট কতটা স্বচ্ছ ও সহজ
ভারতে নির্মলা সীতারমণ এবারের বাজেটটি সাজিয়েছেন সাতটি অগ্রাধিকার দিয়ে। তিনি সাত অগ্রাধিকারের নাম দিয়েছেন সপ্তর্ষি। এটা ধরেই তিনি তাঁর বাজেটের প্রথম পর্ব সাজিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্ব রাজস্ব কার্যক্রম নিয়ে। বাজেট কত বড়, আকার বা আয়তন কী—এ নিয়ে বাজেটে কোনো আলোচনাই নেই। কেবল বাজেট ঘাটতির কথা জানিয়ে সেই ঘাটতি অর্থায়ন পরিকল্পনার কথাই তিনি মূলত বলেছেন। কেননা, ঘাটতি অর্থায়নের প্রভাবই বাজেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমাদের অর্থমন্ত্রীর অগ্রাধিকার কী, মূল্যস্ফীতি কমাবেন কী করে, বাজেটে দেওয়া কর ও রাজস্ব প্রস্তাবের প্রভাব কী—তার পরিষ্কার কোনো ব্যাখ্যা বাজেট বক্তৃতায় নেই। একটা উদাহরণ দিচ্ছি। ভারতের অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের মতোই এবার ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়েছেন। কত বাড়ানো হয়েছে, তা জানানোর পাশাপাশি নির্মলা সীতারমণ বিস্তারিত উদাহরণও দিয়েছেন।
যেমন তিনি বলেছেন, বার্ষিক আয় ৯ লাখ রুপি হলে তাকে এখন কর দিতে হবে ৪৫ হাজার রুপি, যা মোট আয়ের মাত্র ৫ শতাংশ। আগের হিসাবে কর দিতে হতো ৬০ হাজার রুপি। অর্থাৎ নতুন প্রস্তাবের কারণে কর ২৫ শতাংশ কমবে। এমনিভাবে যার আয় বার্ষিক ১৪ লাখ রুপি, কর হিসাবে তাকে দিতে হবে দেড় লাখ রুপি, যা আয়ের ১০ শতাংশ। তার কর কমবে ২০ শতাংশ। এভাবে তিনি প্রতিটি ক্ষেত্রে উদাহরণ দিয়ে সাধারণ মানুষকে সহজে তাঁর কর প্রস্তাবের প্রভাব বুঝিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশেও অর্থমন্ত্রী এবার করমুক্ত আয়ের সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়েছেন। কিন্তু এতে কার কত কর কমবে, তা বুঝতে হলে একজন সাধারণ করদাতাকে দৌড়াতে হবে আয়কর আইনজীবীর কাছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, আয়কর আইনজীবীদের আয় বাড়াতে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীদের ভূমিকা অপরিসীম।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) যাঁরা আয়কর বিভাগে আছেন, তাঁদের এই হিসাব বের করার যোগ্যতা নেই এ কথা বলার সুযোগ নেই। যা নেই তা হচ্ছে স্বচ্ছ হওয়ার আগ্রহ, সাধারণ মানুষকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার ইচ্ছা। আবার ভারতে সব বাজেটের শেষেই সামগ্রিক কর প্রস্তাবের ফলে রাজস্ব আয় কোন খাতে কত বাড়বে, আর কোন খাতে কম কমবে, তারও একটি হিসাব দেওয়া হয়।
এ ক্ষেত্রে পরিষ্কার বোঝা যায়, আগের তুলনায় কোথায় করের ভার কমবে, কোথায় বাড়বে। বাংলাদেশে ২০০১-০২ অর্থবছরের বাজেট পর্যন্ত এ রকম হিসাব দেওয়া হয়েছে। তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। এরপর সাইফুর রহমান আবার অর্থমন্ত্রী হয়ে এভাবে তথ্য দেওয়া বাদ দেন। সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে। সুতরাং বলা যায়, দেশে বাজেট বক্তৃতা যত লম্বা হচ্ছে, বাজেটে তথ্য লুকানো বা না দেওয়ার প্রবণতা ততটাই বাড়ছে।
সংবাদ সম্মেলন, না বাজেট সমাবেশ
বাজেটের অনুষঙ্গ হচ্ছে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন। বাজেট যেহেতু অর্থমন্ত্রী দেন, সুতরাং বাজেটের ব্যাখ্যা দিতে তিনিই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন। এই ধারা প্রথম বাজেট থেকেই অব্যাহত আছে।
স্বাধীন দেশের প্রথম বাজেট দেওয়া হয়েছিল ১৯৭২ সালের ৩০ জুন। ২ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি সঙ্গে এনেছিলেন তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী মনসুর আলীকে। বলে রাখা ভালো, আগে রেল বাজেট আলাদা দেওয়া হতো এবং আমদানি নীতিও বাজেটের দিন বা পরের দিন উপস্থাপন করা হতো। তবে এই রীতি বেশি দিন চলেনি।
বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে দুবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। প্রথম বাজেটের পরে দুবার সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। প্রথমবার বাজেট কার্যক্রম নিয়ে, এর দুই দিন পরে পুনর্বাসন ও উন্নয়ন বাজেট নিয়ে। এ খাতে প্রথম বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৫০১ কোটি টাকা। আর ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয় বাজেটের পরে তাজউদ্দীন আহমদ সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছিলেন কেবল গণমাধ্যমের সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদকদের।
১৯৭২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত সময়ে মূলত এককভাবেই বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলন করেছেন অর্থমন্ত্রী বা অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এসব সংবাদ সম্মেলনে কখনো কখনো পরিকল্পনামন্ত্রী থাকতেন। এরশাদ আমলে একবার তথ্যমন্ত্রী মিজানুর রহমান শেলী উপস্থিত ছিলেন।
আর থাকতেন অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান। তাঁরা মূলত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে অর্থমন্ত্রীকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতেন। মূল বক্তা থাকতেন অর্থমন্ত্রী নিজেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রী থাকলে তাঁরাও সংবাদ সম্মেলনে আসতেন। অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য শুনতেন।
বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনের এই প্রথা প্রথম ভাঙা হয় ১৯৯৬ সালে। অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া সংবাদ সম্মেলন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে নিয়ে। সঙ্গে আরও ছিলেন তৎকালীন তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। এর পরের বছর থেকে মন্ত্রীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। সেই ধারা এখনো অব্যাহত আছে।
এ বছর তো আসনব্যবস্থাতেও পরিবর্তন এসেছে। আগে প্রথম সারিতে মন্ত্রীরা বসতেন। আর সহায়তাকারী আমলারা বসতেন একটু পেছনে। এ বছর আমলাদের আসনের উন্নতি ঘটেছে। সবাই এবার এক সারিতে। এবার সংবাদ সম্মেলনে এক সারিতে বসলেন ১৫ জন, সম্ভবত উপস্থিতির দিক থেকে এটাই দীর্ঘ।
আর এখন আদিষ্ট হয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকেন প্রায় সব কর্মকর্তা। ফলে এখন আর অনেক বড় জায়গা ছাড়া সংবাদ সম্মেলন করাই সম্ভব হবে না। সব মিলিয়ে একে বাজেট জনসভাও বলা যেতে পারে।
আসলে বাজেট বক্তৃতা, উপস্থাপনা ও বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন—সব ক্ষেত্রেই সংস্কার দরকার।