৫ মাসে ১৭ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন, ছয় বছরে সবচেয়ে কম

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)

চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।

গত জুলাই-নভেম্বর সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাত্র ১৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

এই কম বাস্তবায়ন হারের আরও দুটি দিক আছে। প্রথমত, চলতি বছরের জুলাই-নভেম্বর মাসে গত ছয় বছরের একই সময়ের তুলনায় সবচেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। দ্বিতীয়ত, এই সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অর্থও কম খরচ হয়েছে, যার পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার বেশি।

এডিপি বাস্তবায়নের হার কম হওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মূলত নির্বাচনের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। প্রথম আলোকে তাঁরা বলেছেন, নির্বাচনের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি রয়েছে। এ ছাড়া যেসব নতুন প্রকল্প পাস হয়েছে, সেগুলোতে নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা অনুযায়ী বরাদ্দ বন্ধ রয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) মোট খরচ হয়েছে ৪৬ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা। এর আগের বছর একই সময়ে খরচ হয়েছিল ৪৭ হাজার ১২২ কোটি টাকা।

আইএমইডি জুলাই-নভেম্বর মাসের এডিপি বাস্তবায়নের যে হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে, সেখানে এই তথ্য পাওয়া গেছে। আগের বছরের চেয়ে টাকা কম খরচের ঘটনা কোভিডের প্রথম বছরে ঘটেছিল। তবে এবারে দেখা গেছে, এই পাঁচ মাসের প্রতি মাসেই তার আগের মাসের চেয়ে কম অর্থ খরচ করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা। আর প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৩৯২।

সরকারি নথিতে দেখা গেছে, গত জুলাই-নভেম্বর সময়ে ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ তাদের বরাদ্দের ১০ শতাংশ টাকাও খরচ করতে পারেনি। এর মধ্যে সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের একটি প্রকল্পে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও গত পাঁচ মাসে তারা এক টাকাও খরচ করতে পারেনি।

নিজেদের প্রকল্পে বরাদ্দের ১০ শতাংশেরও কম অর্থ খরচ করা অন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো রেল মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি), তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।