ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পরিবার কার্ডের মাধ্যমে দেওয়া পণ্যের পরিমাণ আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির থাকায় সুবিধাভোগীদের দাবি ছিল, টিসিবির মাধ্যমে মাসে একাধিকবার পণ্য দেওয়া হোক, অন্যথায় পরিমাণ বাড়ানো হোক। কিন্তু মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর পরিবার সেই দাবি আলোর মুখ দেখছে না।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে টিসিবির জানুয়ারি মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, ‘হুট করে টিসিবির পণ্য বিক্রির পরিমাণ বাড়ানো খুব মুশকিল। অনেক বড় কেনাকাটা করতে হয়। সুতরাং চাইলেই পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, অন্তত মানুষ এখন যেটুকু পাচ্ছে, সেটা পাক। এতে মানুষের বাজার খরচ কিছুটা কমবে। তবে আমরা চাই, সামগ্রিকভাবে অবস্থার উন্নতি হোক। বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, যাতে টিসিবির মাধ্যমে আর পণ্য দিতে না হয়।’
পণ্যের পরিমাণ বাড়ানো না গেলেও চলমান কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এখন কার্ডের মাধ্যমে পণ্য দেওয়ার কাজ ডিজিটালাইজ করা হচ্ছে। এ ছাড়া গরিব মানুষের যেন কষ্ট না হয়, তা বিবেচনায় নিয়ে যত দিন বাজারের অবস্থা ভালো না হবে, তত দিন এই কার্যক্রম চলবে।
গতকালের পণ্য বিক্রি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবি চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসান, স্থানীয় ২৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন প্রমুখ।
টিসিবির হিসাব থেকে দেখা গেছে, বছরজুড়ে সংস্থাটি যে পরিমাণ পণ্য বিক্রি করে, তা দেশের বাজার চাহিদার তুলনায় খুবই অপ্রতুল। সে কারণে বাজারে তা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে না।
দেশে প্রতিবছর সয়াবিন তেলের চাহিদা ১১ থেকে ১২ লাখ টন। সেখানে গত অর্থবছরে টিসিবি বিক্রি করেছে মাত্র ৭০ হাজার টনের মতো। মসুর ডালের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টন। সেখানে গত অর্থবছরে টিসিবির বিক্রি ছিল ৬৮ হাজার টন।