সার্কভুক্ত সাত দেশ থেকে পণ্য আমদানি বেশি, রপ্তানি কম

সার্কের লোগো

সার্কভুক্ত সাত দেশ থেকে বাংলাদেশের পণ্য আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট পণ্য আমদানির ১৫ শতাংশ এসেছে এসব দেশ থেকে। এর বিপরীতে মোট পণ্য রপ্তানির মাত্র ৪ দশমিক ৪০ শতাংশ গেছে এই দেশগুলোতে। অবশ্য গত অর্থবছরে এসব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানি দুটোই কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে আমদানি-রপ্তানির পাশাপাশি প্রবাসী আয়ের গতিপ্রকৃতিও তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, দেশে আসা মোট প্রবাসী আয়ের ১ শতাংশেরও কম এসেছে সার্কভুক্ত দেশ থেকে।

ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান—এই সাত দেশ থেকে গত অর্থবছরে ১ হাজার ৩৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ, যা এর আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩১ শতাংশ কম। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ডলারের পণ্য।

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত থেকেই সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরে দেশটি থেকে ৯৪৯ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তার আগের অর্থবছর আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৩৯৪ কোটি ডলারের পণ্য। দেশটি থেকে বস্ত্র খাতের কাঁচামাল, শাকসবজি, খনিজ পণ্য, গাড়ি ইত্যাদি আমদানি হয়।

ভারতের পর পাকিস্তান থেকে বেশি আমদানি করে বাংলাদেশ। গত অর্থবছরে দেশটি থেকে ৭০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়। মূলত তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের কাঁচামাল, খনিজ পণ্য, কাঁচা চামড়া ইত্যাদি আমদানি হয় দেশটি থেকে। এ ছাড়া একই বছরে শ্রীলঙ্কা থেকে ৮ কোটি ৮৭ লাখ, আফগানিস্তান থেকে ১ কোটি ২৮ লাখ এবং ভুটান থেকে ৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য আমদানি হয়। মালদ্বীপ ও নেপাল থেকে পণ্য আমদানি খুবই নগণ্য।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোয় বাংলাদেশ ১৯২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। তার আগের অর্থবছর রপ্তানি করেছিল ১৯৩ কোটি ডলারের পণ্য। তার মানে গত অর্থবছরে রপ্তানি কমেছে দশমিক ৯১ শতাংশ।

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত থেকে যেমন আমদানি বেশি হয়, তেমনি রপ্তানিও বেশি হয় বাংলাদেশের। গত অর্থবছরে দেশটিতে ১৭১ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। এ ছাড়া পাকিস্তানে ৮ কোটি ২৮ লাখ, শ্রীলঙ্কায় ৫ কোটি ৭৩ লাখ এবং নেপালে ৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। আফগানিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপে রপ্তানিও খুবই নগণ্য।

এদিকে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। তার মধ্যে সার্কভুক্ত দেশগুলো থেকে এসেছে মাত্র ৪ কোটি ৪৯ লাখ ডলার।

গত অর্থবছরে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ থেকে ২ কোটি ৯০ লাখ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা আগের ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৭৪ লাখ ডলার বেশি। একই অর্থবছরে ভারত থেকে ১ কোটি ৮১ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। আফগানিস্তান, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা থেকে খুবই কম প্রবাসী আয় আসে।