ভোজ্যতেল ও মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব ক্রয় কমিটিতে অনুমোদিত

সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল

সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ৩৬২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার সয়াবিন তেল, পাম তেল ও মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। এর মধ্যে ৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকার সয়াবিন তেল, ১৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকার পাম তেল ও ১০১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মসুর ডাল।

গতকাল সোমবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব কেনার তিনটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। প্রস্তাবগুলো নিয়মিত আলোচ্যসূচিতে ছিল না, টেবিলে উপস্থাপিত হয়েছিল। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের তা জানান।

সচিব বলেন, টিসিবির জন্য স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ৫০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৫১ টাকা ৪৫ পয়সা। কাজ পেয়েছে সোনারগাঁও সিক্সক্রাসিং মিলস লিমিটেড। এ ছাড়া পাম তেল কেনা হচ্ছে ১ কোটি ৩০ লাখ লিটার; প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৪৩ টাকা। কাজ পেয়েছে ঢাকার সুংসিং এডিবল অয়েল লিমিটেড। মসুর ডাল কেনা হচ্ছে ১০ হাজার টন; প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০১ টাকা ৩০ পয়সা।

এদিকে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতুর সংস্কারে ১২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ঠিকাদার নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ক্রয় কমিটিতে। যৌথভাবে কাজ পেয়েছে সেকেন্ড হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন।

সচিব বলেন, ১৯৯৮ সালে উন্মুক্ত হওয়া সেতুটির আয়ুষ্কাল ২৫ বছর ইতিমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে; এখন সংস্কার করা দরকার। এ জন্য কিছু যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের আওতায় ভারতের অর্থায়নে ৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে কুমিল্লা (ময়নামতি)-ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ধরখার) জাতীয় মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীত করতে প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।

এদিকে ‘বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট) ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন প্রকল্পের’ আওতায় ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ব্যয় তৃতীয় দফায় বেড়েছে ৪৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এ প্রকল্পে তিন দফায় মোট বেড়েছে ১৭০ কোটি টাকা। তৃতীয় দফা বৃদ্ধির পর মোট চুক্তিমূল্য দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

এ ছাড়া মরক্কো থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব ক্রয় কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সারের দাম কমেছে। প্রতি টনের দাম পড়বে ৪৭৭ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার, যা আগে ছিল ৫৪৭ দশমিক ৫০ ডলার।