সিঙ্গাপুর থেকে ৩ কার্গো এলএনজি কেনা হচ্ছে

এলএনজিপ্রতীকী ছবি

সিঙ্গাপুরভিত্তিক এম এস গানভোর এবং ভিটল এশিয়া নামের দুই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২৭৪ কোটি ১২ লাখ টাকা। এক কার্গোতে এলএনজি থাকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ)।

আজ বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এম এস গানভোর থেকে আনা হবে দুই কার্গো এলএনজি। প্রতি কার্গোর জন্য খরচ হবে ৪২৫ কোটি ৮১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা করে। প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ৯ দশমিক ৮৪ মার্কিন ডলার। আর ভিটল এশিয়া থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪২২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। তাতে প্রতি এমএমবিটিইউর দাম পড়বে ৯ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২১)–এর আওতায় মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্সেস অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দরপত্র সংগ্রহ করে এই এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়।

এক বছর আগে গত বছরের জানুয়ারিতে এলএনজির দাম উঠেছিল প্রতি এমএমবিটিইউ ২২ থেকে ২৩ ডলার। যদিও তার ছয় মাস আগে ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট বিশ্ববাজারে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম সর্বোচ্চ ৭০ ডলারে উঠেছিল। বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রথম এলএনজি আমদানি শুরু করে। তখন বৈশ্বিক খোলাবাজারে প্রতি ইউনিটের দাম ছিল ৪ ডলার। করোনা সংক্রমণের সময় ২০২০ সালের শুরুর দিকে তা ২ ডলারেও নেমে এসেছিল।

বৈঠক শেষে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার কারণ জানতে চাওয়া হয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে। তিনি বলেন, কম দামে পাওয়া যাচ্ছে বলেই স্পট মার্কেট থেকে কেনা হচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস কেনা হয় মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ। বাকি ৪০ শতাংশ কেনা হয় স্পট থেকে। দীর্ঘমেয়াদি গ্যাসের দাম এখন ১২ ডলারের মতো। স্পটের সুবিধা হলো দাম কখনো বাড়ে, কখনো কমে। এখন আমরা কমে কিনলাম, ৯ ডলারের একটু বেশি।