রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি আট হাজার কোটি টাকার বেশি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবন
ফাইল ছবি

নানামুখী চাপে আছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। শুল্ক-কর আদায় নিয়ে বিপাকে রয়েছে সংস্থাটি। একদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত—চলতি অর্থবছরে স্বাভাবিকের চেয়ে জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক-কর আদায় বাড়াতে হবে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতা, দ্বন্দ্ব–সংঘাতের আশঙ্কায় ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্লথগতির শঙ্কা। তাতে অতীতের মতো রাজস্ব আদায় কমতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আদায়ে ৮ হাজার ২০৮ কোটি টাকা ঘাটতি হয়েছে। এ সময়ে সব মিলিয়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। যদিও আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৮৪ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা। অর্থবছরের শুরু থেকেই শুল্ক-কর আদায়ে পিছিয়ে আছে এনবিআর।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরের জন্য সব মিলিয়ে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এনবিআর কর্মকর্তারা মনে করেন, বছরের শেষের দিকে কর আদায়ে গতি বাড়বে।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আমদানি, ভ্যাট ও আয়কর—এই তিন খাতের মধ্যে কোনোটিতেই গত তিন মাসে আদায়ের লক্ষ্য পূরণ হয়নি। সবচেয়ে বেশি ঘাটতি ছিল আয়কর খাতে।

এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মজিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনীতির দ্বন্দ্ব–সংঘাত অর্থনীতিকে গতিহীন করবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও শ্লথ হবে। এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না।’