দেশে বেশি বয়সে বিয়ে করেন ধনীরা

বিয়ে
প্রতীকী ছবি: এএফপি

বিশ্বের অন্যতম সেরা ধনী ও মিডিয়া মোগল খ্যাত রুপার্ট মারডক সম্প্রতি ৯২ বছর বয়সে বিয়ে করেছেন। এটি তাঁর পঞ্চম বিয়ে। তাঁর স্ত্রী অ্যান লেসলি স্মিথের বয়স ৬৬ বছর। বয়স তাঁদের বিয়েতে বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। রুপার্ট মারডকের মতো অনেকের বিয়ের ক্ষেত্রে বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। প্রথম হোক, দ্বিতীয় হোক, আর তৃতীয় হোক—ধনীরা একটু বেশি বয়সেই বিয়ে করেন। এটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ভাবছেন কীভাবে?

তাহলে একটু খুলেই বলা যাক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে দেখা গেছে, দেশের সবচেয়ে ধনী শ্রেণির বিয়ের বয়স সবচেয়ে বেশি। এই শ্রেণির পুরুষেরা গড়ে ২৭ বছর বয়সে বিয়ে করেন। ওই শ্রেণির নারীদের বিয়ের বয়স গড়ে ২১ বছর, যা বিয়ের জাতীয় গড় বয়সের চেয়ে বেশ কম।

ধনী-গরিবনির্বিশেষে জাতীয়ভাবে বিয়ের গড় বয়স পুরুষের ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ৩ বছর, আর নারীর ক্ষেত্রে ১৮ দশমিক ৭ বছর। দুটো হিসাবই প্রথম বিয়ের মধ্যমা মান ধরে করা হয়েছে।

বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২১ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশে ধনীরা বেশি বয়সে বিয়ে করেন। টাকাপয়সা, ধনসম্পদ হলে বৈবাহিক জীবনে জড়ানোর প্রবণতা বেশি। নিজেদের প্রতিষ্ঠিত ও যোগ্য করে তোলায় বেশি মনোযোগী হন তাঁরা।

বিবিএসের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোটামুটি শ্রেণির মধ্যে বিয়ের গড় বয়স পুরুষদের ক্ষেত্রে ২৫ বছর এবং নারীর ক্ষেত্রে এই বয়স ২১ বছর।

ধনীদের যখন এই অবস্থা, তখন গরিবদের কী অবস্থা, সেদিকে নজর দেওয়া যাক। বিবিএসের জরিপের তথ্য বলছে, তুলনামূলকভাবে গরিব মানুষের মধ্যে কম বয়সে বিয়ে করার প্রবণতা বেশি। সবচেয়ে গরিব যে শ্রেণি, সেখানে পুরুষেরা গড়ে ২১ বছর বয়সে বিয়ে করেন। গরিব নারীর ক্ষেত্রে বিয়ের গড় বয়স ১৭ বছর।

এবার দেখা যাক, কোন অঞ্চলের মানুষ কত বয়সে বিয়ে করে। ময়মনসিংহ বিভাগের পুরুষেরা সবচেয়ে কম বয়সে বিয়ে করেন। ওই বিভাগের পুরুষদের বিয়ের গড় বয়স ২২ বছর। আর সবচেয়ে বেশি বয়সে বিয়ে করেন সিলেট বিভাগের পুরুষেরা। সিলেটের পুরুষেরা গড়ে ২৬ বছর বয়সে বিয়ে করেন। এবার দেখা যাক, অঞ্চলভেদে নারীর বিয়ের বয়স কেমন। সবচেয়ে কম বয়সে বিয়ে করেন খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের নারীরা। এই দুই বিভাগের নারীদের বিয়ের গড় বয়স ১৭ বছর। আর সিলেটের নারীরা পুরুষদের মতো বেশি বয়সে অর্থাৎ ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেন।