চীনা ঋণের প্রকল্পের দেশীয় ঠিকাদারেরা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
চীনের ঋণের প্রকল্পের দেশীয় ঠিকাদারেরা রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন চীনা ঋণের প্রকল্পে দেশীয় ঠিকাদারেরা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন। এসব বিষয় এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আজ রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
একনেক সভায় ৪ হাজার ৬৮ কোটি টাকার মোংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন নামের একটি প্রকল্প পাস করা হয়। এ প্রসঙ্গে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, মোংলা বন্দর বড় হতে হলে কনটেইনার–সুবিধা বাড়াতে হবে। অনেক দিন ধরেই প্রকল্পটি নিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। এটা চীনা ঋণের প্রকল্প। তিনি বলেন, ‘চীনা ঋণের প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চীন ঠিক করে। কিন্তু আমাদের দিকে অংশীদার কে, সেটা নিয়ে যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।’
এ ছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে বাজেট সংশোধনের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি আরও বলেন, বিদেশি ঋণে প্রকল্প নেওয়া খারাপ নয়। তবে বিদেশি ঋণ কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা বিবেচনায় আনতে হবে। তাঁর মতে, রপ্তানি খাতের সুবিধা হবে, এমন প্রকল্পে বিদেশি ঋণ নেওয়া হলে ঋণ পরিশোধে লেনদেনের ভারসাম্যে প্রভাব পড়বে না। কারণ, ওই প্রকল্প রপ্তানি বাড়াতে সহায়তা করবে।
একনেকে ১৩ প্রকল্প পাস
আজ একনেক সভায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তর কাট্টলী ক্যাচমেন্ট স্যানিটেশন; মোংলা বন্দরের সুবিধা সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন; ধান, গম ও ভুট্টার উন্নততর বীজ উৎপাদন ও উন্নয়ন (৩য় পর্যায়) এবং বিএডিসির বিদ্যমান বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিতরণব্যবস্থা আধুনিকীকরণ ও উন্নয়ন (২য় পর্যায়); খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড সেফটি টেস্টিং ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিতাস ও কামতা ফিল্ডে চারটি মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপ খনন; হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা ফিল্ডে ৩-ডি সাইসমিক জরিপ; সিলেট-১২ নম্বর কূপ খনন (তেলকূপ); ঘোড়াশাল ৪র্থ ইউনিট রিপাওয়ারিং (৩য় সংশোধিত); বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থায় উন্নয়ন, চট্টগ্রাম জোন (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত); প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেনদেনিং সার্ভিস ডেলিভারি সিস্টেমস ফর ইম্প্রুভড মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেনইবল রি-ইন্টিগ্রেশন; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঢাকা মহানগরী ও পূর্বাচলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, অবকাঠামো উন্নয়নসহ দৃষ্টিনন্দনকরণ (১ম সংশোধিত); তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্প (২য় পর্যায়)।