খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান এখন ৪০%
খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে নভেম্বর মাসে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল চালের। নভেম্বর মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪০ দশমিক ২৮ শতাংশ। অক্টোবরে যা ছিল ৪৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। একইভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে মাছ ও মাংসের অবদান ছিল যথাক্রমে ৪০ দশমিক ৭৭ শতাংশ ও ১০ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ ছাড়া অক্টোবর মাসের মতো সার্বিক খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে শাকসবজি। সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
জিইডির প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যের তুলনামূলক কম। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রাজস্ব লক্ষ্যে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩৬ হাজার ৩২৬ কোটি টাকা। তবে ওই মাসে বাস্তব রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৯ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি হয়েছে ৬ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে আমদানি পর্যায়ে লক্ষ্যের চেয়ে ১ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। আর স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট খাতে ২ হাজার ৫৪৯ কোটি টাকা এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ২ হাজার ৭৫৭ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
জিইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মূল্যস্ফীতি এবং মজুরি বৃদ্ধি হারের ব্যবধান অক্টোবর মাসে কমলেও নভেম্বর মাসে কিছুটা বেড়েছে। নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর অক্টোবর মাসে মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা নভেম্বরে এসে হয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
এদিকে ব্যাংক আমানত অক্টোবর মাসে ১৯ লাখ ২৪ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ শতাংশ ৬২ শতাংশ বৃদ্ধি। তার আগে আগস্ট মাসে আমানত বেড়েছিল ১০ শতাংশের বেশি। তবে সেপ্টেম্বরে তা সামান্য কমে ৯ শতাংশ ৯৮ শতাংশ ছিল। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আমানতে ধারাবাহিক বৃদ্ধি ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীদের আস্থা বৃদ্ধির প্রতিফলন। এ ছাড়া নভেম্বরের তথ্য এখনো প্রকাশিত হয়নি।
জিইডির ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধি সেপ্টেম্বর মাসে ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে কমে ২১ দশমিক ৪৩ শতাংশে এসেছে। আর বেসরকারি খাতের ঋণ বৃদ্ধি সামান্য কমে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে নেমেছে।