কুষ্টিয়ায় ফলন ও দাম দুটিই ভালো আমনের

ধান ঘরে তুলতে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন এক কৃষক
প্রথম আলো ফাইল ছবি

কুষ্টিয়া জেলায় এবার আমন ধানের আবাদ করে কৃষকদের মন আনন্দে ভরে উঠেছে। কারণ, ফলন যেমন বেশি হয়েছে, তেমনি ধানের দামও মিলছে ভালো। এতে ভীষণ খুশি কৃষকেরা। জমির ধান কাটা এখন একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্র বলছে, চলতি আমন মৌসুমে কুষ্টিয়ায় মোট ৮৮ হাজার ৯১৯ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে। তা থেকে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তিন লাখ টন। প্রতি বিঘা জমিতে ২২ থেকে ২৫ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে। প্রথম দিকে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ বলছে, ধানের আকার ও মান ভালো হওয়ায় আগের বছরের তুলনায় প্রতি হেক্টরে ১০০ কেজি করে বেশি চাল পাওয়া যাচ্ছে। এবার উন্নত জাতের বীজ বিতরণ, সুষম মাত্রায় সেচ ও সার প্রদান এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় ধানের উৎপাদন বেড়েছে। সার ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে যে লোকসানের আশঙ্কা ছিল, তা ভালো ফলনের সুবাদে কেটে গেছে। প্রতি হেক্টরে গত বছর যেখানে ৩ দশমিক ৩ টন চাল পাওয়া গেছে, সেখানে এবার মিলছে ৩ দশমিক ৪ টন করে।

দৌলতপুর উপজেলার কৃষক রানা হোসেন জানান, এ বছর তিনি তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষ করেছিলেন। প্রতি বিঘায় গড়ে ২৫ মণ ধান পেয়েছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তারপরও তিনি ধান বিক্রি করে লাভবান হয়েছেন।

মিরপুর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক রহুল আমিন জানান, এবার তিনি ৩৯ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছেন। ভালো ফলন পেয়েছেন। ধান বিক্রি করে দাম ভালো পেয়েছেন।

কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপপরিচালক হায়াত মাহমুদ বলেন, জেলাজুড়ে কৃষকের মুখে এবার চওড়া হাসি। ধানের ফলনের পাশাপাশি গতবারের তুলনায় দামও ভালো।