পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে সরকার সজাগ: অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা
দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি উৎপাদন ও সরবরাহের সঙ্গে সম্পর্কিত। দেশে কোনো পণ্যের উৎপাদন কম হলে যতটা সম্ভব আমদানি করতে হবে। সাধারণ মানুষ যেন চাপে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে কী কী করা দরকার, সরকার সে বিষয়ে সজাগ আছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের দেশীয় প্রধান এডিমন গিনটিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে সরকারি কর্মচারীরা রেশন চাইলে কী করা হবে এবং এ ক্ষেত্রে বেসরকারি চাকরিজীবীদের কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, তাঁর কাছে সবাই সমান। সবাই যেন শোভনভাবে জীবন যাপন করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। আমদানির বিষয়ে তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রে তা আমদানিবাহিত। এ বিষয়ে সরকার সচেতন রয়েছে।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতির বড় স্তম্ভ হচ্ছে বাণিজ্য—দেশীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্য—দুটি মিলেই। যতটা সম্ভব, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সহায়ক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করা হবে। দুর্নীতি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে। মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বাণিজ্যের বড় ভূমিকা আছে। ফলে এসব ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার চেষ্টা করা হবে।
মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করে বিদ্যমান সমস্যা দূর করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা। বাণিজ্য সংগঠনগুলোর বড় ভূমিকা আছে উল্লেখ করে সাংবাদিকদের তিনি আশ্বস্ত করেন, ‘বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কী হয়, সে বিষয়ে আমার ধারণা আছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকেন, এ বিষয়ে যা করা দরকার, আমরা তা করব।’
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘চলমান যেসব প্রকল্প যৌক্তিক, সেগুলো চালিয়ে নেওয়ার বিষয়ে কথা হয়েছে। সেই সঙ্গে পাইপলাইনে যেসব প্রকল্প আছে বা ভবিষ্যতে আরও যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে, সেখানে তারা সহায়তা করবে। তারা ইতিবাচক। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে যিনি এসেছেন, তাঁকে আমরা জানি; আমরা জানি কী করতে হবে।’
রিজার্ভের বিষয়ে কথা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা হয়নি। রিজার্ভের বিষয়ে কথা বলার জন্য গভর্নর আছেন, তিনি এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রতিনিধিদল আসবে। তাদের সঙ্গে রিজার্ভ ও মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ে আলোচনা হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। তিনি এখন এসব দেখভাল করবেন। তিনি যে পরিকল্পনা করবেন, অর্থ মন্ত্রণালয় সে অনুযায়ী বরাদ্দ দেবে।
এলডিসি উত্তরণের ক্ষেত্রে সময় চাওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি অনেক বড় বিষয়; এখনই এ নিয়ে কিছু বলা যাবে না। উত্তরণের ক্ষেত্রে অনেক শর্ত আছে। বিষয়টি শুধু অর্থ-বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নয়; এর সঙ্গে অন্যান্য সংস্থার সম্পর্ক আছে।