ডলার ও পণ্যের দাম কমবে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল
ছবি: সংগৃহীত

ডলার ও জিনিসপত্রের দাম কমে আসবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে জিনিসের দাম কমার একটা ব্যাখ্যা দিলেও ডলারের দাম কীভাবে কমে আসবে, তিনি সেটি ব্যাখ্যা করেননি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমদানি করে এখন যা নিয়ে আসছি, সেগুলো এসে পৌঁছালে সংগত কারণেই দাম কমবে। খাদ্যদ্রব্যের বাইরেও কমে আসবে জিনিসপত্রের দাম। ডলারের দামও কমে আসবে।’ সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘এটি এখন ৭ শতাংশের বেশি। বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বাড়তি। ভোজ্যতেল বা অন্যান্য যেসব জিনিস আমদানি করতে হয়, তাদের ওখানকার (রপ্তানিকারক দেশ) প্রভাব এখানেও পড়ে। বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে বলে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে।’

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার সময় মূল্যস্ফীতির হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এর মধ্যে অনেক চড়াই-উতরাই পাড়ি দিয়েছি। মহামারি সুন্দরভাবেই মোকাবিলা করেছি। এ জন্য সারা বিশ্বে প্রশংসিতও হয়েছি। এখন আমরা ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে যে ক্ষতি হচ্ছে, তা–ও মোকাবিলা করছি। মাসখানেক পর এর প্রতিফলন দেখতে পারব।’

বিদেশ থেকে অন্তত অর্ধেক অর্থ হুন্ডির মাধ্যমেই দেশে আসে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কিন্তু হুন্ডিতে কী পরিমাণ অর্থ আসে, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ মুহূর্তে কোনো ধারণা নেই। আগে একটা সমীক্ষা করে দেখা হয়েছিল, আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে আসে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে আসে ৪৯ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতা এখনো আছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময় চাই আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে বিদেশ থেকে টাকা আসুক। কারণ, এটার সুফল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। হুন্ডির মাধ্যমে যদি কেউ টাকা নিয়ে আসেন সেটিকে অবৈধ বলব না, তবে সেটি কালোটাকা। যাঁরা সেই অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তাঁরা সব সময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুর্নীতি কতটা হয়, সে তথ্য আমার কাছে নেই। আপনাদের কারও কাছেও হয়তো নেই। কিন্তু অনুমান করে বলতে পারেন যে দুর্নীতি হচ্ছে।’

সয়াবিন তেল কেনা হচ্ছে

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও কানাডা থেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কেনার অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৪৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুল বারিক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় আরও দুটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। একটি হলো ইউএই ও কাতার থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি সই। অন্যটি এক লাখ টন এমওপি সার আমদানি।