কাঁচা মরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের অভিযান

কাঁচা মরিচ
ফাইল ছবি

কাঁচা মরিচের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গতকাল সোমবার সারা দেশের ৫৩টি বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে কাঁচা মরিচ ছাড়াও অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামের বিষয়েও তদারক করা হয়। এ সময় পণ্যের মূল্য কারচুপি, মূল্যতালিকা ও ভাউচার না থাকায় ১৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেছে সংস্থাটি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, কাঁচা মরিচ, চিনিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য তদারকির লক্ষ্যে এ অভিযান চালানো হয়েছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৫০টি জেলা ও মহানগরীতে একযোগে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানের ফলে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।

সরবরাহের সংকটের কারণ দেখিয়ে ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ৫৫০ টাকায়ও বিক্রি হয়। আর খুচরা বাজারে মরিচের দাম বেড়ে কেজিতে ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।

তবে স্থানীয়ভাবে সরবরাহ বৃদ্ধি ও ভারত থেকে মরিচ আমদানির পর গতকাল বাজারে দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমতে শুরু করে। গতকাল দেশের বিভিন্ন বাজারে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে। তবে যেসব খুচরা বিক্রেতা আগে বেশি দামে মরিচ কিনেছিলেন, তাঁরা গতকালও ৩০০ টাকার কাছাকাছি দরে তা বিক্রি করেছেন।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বাড়ছে। ফলে দু–এক দিনের মধ্যে এই দাম আরও কমে আসবে। এদিকে ঈদের ছুটি শেষে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। গত রোববার চারটি স্থলবন্দর দিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার কেজি কাঁচা মরিচ দেশে এসেছে।

কাঁচা মরিচের দাম তদারকির জন্য গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সাদেক খান কৃষি বাজার, টাউন হল বাজার ও মিরপুর শাহ আলী মার্কেট এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একাধিক দল অভিযান চালায়। বাজারগুলোতে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কাঁচা মরিচের সরবরাহ ও দরদাম নিয়ে কথা বলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

ভোক্তা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মাসুম আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। ঢাকায় অভিযানের সময় দরদামের যথাযথ নথিপত্র না থাকায় কাঁচা মরিচ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সাত প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।