একনেক সভা
ডলার সাশ্রয়ের জন্য ফেরত গেল টেলিটকের প্রকল্প
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যন্ত্রপাতি আমদানিতেই ৮০ শতাংশ অর্থ খরচ হবে। বিদেশি সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়নের পরামর্শ।
রাজধানী ঢাকায় মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভ–জি) প্রযুক্তি চালু করতে ২৩৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকার একটি প্রকল্প নেয়। প্রকল্পের পুরো অর্থই দেশজ উৎস থেকে সরবরাহ করা হবে। এমন একটি প্রকল্প গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদনের জন্য তোলা হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি পাস করা হয়নি। কারণ, এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হবে। এতে ডলার খরচ হবে। এ সময়ে ডলার সাশ্রয়ের জন্য প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত করা হয়।
গতকালের একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন। টেলিটকের প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা ছিল।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কৃচ্ছ্রসাধনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই প্রকল্পের ৮০ শতাংশ অর্থ বিদেশি মুদ্রায় খরচ করতে হবে। রিজার্ভ থেকে এই ব্যয় পরিশোধ করতে হবে। তাই আপাতত প্রকল্পটি স্থগিত করা হয়েছে। এটা পরে বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য একনেক সভা থেকে এই প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ খুঁজতে বলা হয়েছে।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মামুন আল রশীদ বলেন, টেলিটকের ফোর–জি পুরোপুরি সফল হয়নি। তাই আগে ফোর–জি, পরে ফাইভ–জি।
গতকালের একনেক সভায় উত্তরা লেক উন্নয়নসহ ২ হাজার ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মোট সাতটি প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। মোট ব্যয়ের মধ্যে বিদেশি সহায়তা ১২২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ১ হাজার ২২৫ কোটি টাকার ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন প্রকল্প; ১৫০ কোটি টাকার প্রকিউরমেন্ট অব মেশিনারিজ অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট ফ্রম বেলারুশ ফর সিলেকটেড মিউনিসিপ্যালিটিস; ২২৭ কোটি টাকার কক্সবাজার জেলার বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার নাফ নদী বরাবর পোল্ডারগুলোর (৬৭/এ, ৬৭, ৬৭বি এবং ৬৮) পুনর্বাসন প্রকল্প; ৫৩ কোটি টাকার উত্তরা লেক উন্নয়ন; ১৬২ কোটি টাকার ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ; ২৫ কোটি টাকার রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন; ১৬৪ কোটি টাকার বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) উন্নত গ্রিনহাউস স্থাপন প্রকল্প।