যশোরে সবজির দাম গত বারের তুলনায় কিছুটা বেশি

শীতের শাক–সবজি
ফাইল ছবি

শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজি গত বছরের তুলনায় এ বছর কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে যশোরের পাইকারি সবজির মোকাম বারীনগরে। খুচরা বাজারে ভোক্তাদের সেসব সবজি কিনতে হচ্ছে আরও বেশি দামে।

শীতের আগ মুহূর্তে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সবজি খেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও বিএনপির হরতাল-অবরোধে ট্রাকের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় সবজির দামে প্রভাব পড়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকেই বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ শুরু হয়। গত কয়েক দিনে বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, শিম, বেগুন, পটোল, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তারপরও বাজারে যে দামে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে তা গত বছরের চেয়ে বেশি।

বারীনগর বাজারের কৃষক ও ব্যাপারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল শনিবার পাইকারিতে প্রতি কেজি মুলা ৯ থেকে ১০, পটোল ১৬ থেকে ২৮, গোল বেগুন ২৩ থেকে ২৫, শিম (লাল) ৩৮, শিম সবুজ ৩০,  ফুলকপি ২০, বাঁধাকপি ১৭ থেকে ১৮, লাউ ২৬ থেকে ২৮ টাকা দরে বেচাকেনা হয়েছে।

বারীনগর বাজারের সবজির ব্যাপারী এন্তার আলী বলেন, ‘সবজির দাম কিছুটা কমলেও গত বছরের তুলনায় এ বছর এখনো মুলা,পটোল, বেগুন, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ সব ধরনের শীতকালীন সবজির দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে চার-পাঁচ টাকা বেশি।
গত বছরের তুলনায় এ বছর সবজির দাম বেশি থাকার কারণ হিসেবে ব্যাপারীরা জানান, সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের সবজির খেত নষ্ট হয়। যে কারণে এ বছর সবজির সরবরাহ গত বছরের তুলনায় একটু কম। বাজারে সবজির জোগান কম থাকলে দাম বেশি হয়। এ ছাড়া বিএনপির ডাকা হরতাল-অবরোধের কারণে ট্রাকের ভাড়া গন্তব্যভেদে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা বেড়ে গেছে।

বিক্রেতারা জানান, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বর্তমানে ভালোই রয়েছে। এ জন্য ১৫ দিন আগের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের প্রতি রোববার ও বৃহস্পতিবার যশোরের বারীনগরে পাইকারি সবজির হাট বসে। হাটের দিন ভোর থেকে কৃষকেরা খেতের সবজি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। ঢাকা, শরীয়তপুর, রংপুর, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজির ব্যাপারীরা এই হাটে এসে কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কেনেন। সকাল ১০টার মধ্যে হাটে বেচাকেনা শেষ হয়ে যায়। এরপর ট্রাকবোঝাই করে ওই সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপপরিচালক মনজুরুল হক বলেন, ‘যশোর জেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন ও  চার হাজার হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজির চাষ হয়েছে। বর্ষায় সবজির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। বাজারে অন্যান্য সব পণ্যের দাম বেশি। এ কারণে সবজির দামও কিছুটা বেশি রয়েছে। শীতকালীন সবজির মৌসুম এখনো পুরোদমে শুরু হয়নি। আরও কিছুদিন পরে পুরোপুরি মৌসুম শুরু হবে। তখন সবজির দাম আরও কমবে।’