প্রতিবন্ধকতার কারণে সফল হচ্ছে না ক্ষুদ্র ও মাঝারি স্টার্টআপ

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)

প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দক্ষ মানবসম্পদের অভাব, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে যোগাযোগের ঘাটতি ও আর্থিক সহায়তার অনিশ্চয়তা—এমন প্রতিবন্ধকতার কারণে কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তা (সিএমএসএমই) স্টার্টআপগুলো কাঙ্ক্ষিত সাফল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ খাতের সমস্যা সমাধানে ‘স্টার্টআপ নীতি’ প্রণয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ও শিল্প খাতের সমন্বয় বৃদ্ধি, সরকারি সেবা ও সহযোগিতাপ্রাপ্তি আরও দ্রুত করা প্রয়োজন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সিএমএসএমই স্টার্টআপদের সফলতার পথে প্রতিবন্ধকতা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার সেমিনারটি ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।

স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে দেশে স্টার্টআপের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০। প্রতিবছর নতুন প্রায় ২০০ স্টার্টআপ যুক্ত হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির বর্তমান সময়ে এ খাতের প্রচুর সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দক্ষ মানবসম্পদ ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব, দুর্বল সরবরাহব্যবস্থা ও আর্থিক সহায়তার অনিশ্চয়তার কারণে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য মিলছে না।

এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সরকার প্রতিটি জেলায় ‘শেখ কামাল আইটি অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার’ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে স্টার্টআপ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, ফিনটেক খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার ‘বিনিময়’ নামে পেমেন্ট গেটওয়ে স্থাপনের কাজ চূড়ান্ত করেছে, যা এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ। তিনি জানান, গত বছর বাংলাদেশে স্টার্টআপ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তার মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ৪১ কোটি ২০ লাখ ডলার। এতে দেশে প্রায় ১৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।