জুলাই–ডিসেম্বরে বিদেশি ঋণছাড়ে শীর্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি ঋণের সবচেয়ে বেশি অর্থ ছাড় করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। তাদের ঋণছাড়ের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। গত জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এই ঋণদাতা সংস্থা ১০৫ কোটি ডলারের ঋণ ছাড় করেছে। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য চারটি দেশ ও সংস্থা হলো বিশ্বব্যাংক, রাশিয়া, জাপান ও চীন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, ঋণছাড়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বিশ্বব্যাংক গত ছয় মাসে দিয়েছে ৮০ কোটি ডলার। তৃতীয় স্থানে থাকা রাশিয়ার ছাড় করা ঋণের পরিমাণ ৫৩ কোটি ডলার। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকা জাপান ও চীন ঋণ ছাড় করেছে যথাক্রমে ৪৪ কোটি ডলার ও ২৭ কোটি ডলার।
কয়েক বছর ধরেই দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে বাংলাদেশের ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বাড়ছে। ফলে ঋণদাতা দেশ হিসেবে শীর্ষ পাঁচে রাশিয়া ও চীনের মতো দেশ ঢুকে গেছে। রাশিয়ার অর্থায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ দেশের বেশ কিছু বড় প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩৫৩ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ এসেছে। তবে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় বিদেশি ঋণছাড় বাড়েনি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৪০৬ কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পেয়েছিল বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এর চেয়ে ৫৩ কোটি ডলার কম ঋণ পেয়েছে।
এদিকে বিদেশি ঋণ পাওয়ার পাশাপাশি পুরোনো ঋণের সুদ ও আসল বাবদ বড় অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে সরকারকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে সরকারকে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ১৯৮ কোটি ডলার। তার আগের অর্থবছরে একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে সরকারকে ৪১ কোটি ডলার বেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি সংস্থা ও দেশের কাছ থেকে ঋণসহায়তার প্রতিশ্রুতিও খুব বেশি মিলছে না এখন। গত জুলাই-ডিসেম্বরে মাত্র ২৩০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি মিলেছে; যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের ৪০ শতাংশের সমপরিমাণ।
তথ্য সংশোধন : প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণ পরিশোধে তথ্যগত ভুল ছিল। সেই তথ্যটি আমরা সংশোধন করেছি। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দু:খপ্রকাশ করছি।