২০৪১ সাল নাগাদ স্টার্টআপ খাত দেশকে নেতৃত্ব দেবে

এফবিসিসিআই আয়োজিত তিন দিনের ব্যবসা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ ডিজিটাল অর্থনীতি নিয়ে এক অধিবেশনে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ। আজ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে
ছবি– প্রথম আলো

কৃষি, তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাত অর্থনীতির একটি ভিত্তি হিসেবে গড়ে উঠছে। ডিজিটাল অর্থনীতির সুফল পেতে হলে সহায়ক নীতি ও মানুষের ডিজিটাল শিক্ষা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত তিন দিনের ব্যবসা সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আজ রোববার ‘ডিজিটাল ইকোনমি’ শীর্ষক এক অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অধিবেশনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধীরে ধীরে দেশের অর্থনীতি প্রযুক্তিনির্ভর হতে যাচ্ছে। ২০৪১ সাল নাগাদ স্টার্টআপ খাত দেশকে নেতৃত্ব দেবে। তাই দেশি–বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন ও স্টার্টআপে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, আইটি ও আইটিএস খাতই ভবিষ্যৎ। রপ্তানির জন্য শুধু কোনো একটি খাতের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। বাংলাদেশের সব খাতে তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা অনেক। সরকার এই ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে নানা ধরনের নীতি গ্রহণ করছে।

ফিনটেকের কল্যাণে দেশের সব শ্রেণির মানুষই এখন টাকা জমা রাখার সুযোগ পাচ্ছে বলে জানান বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদির। তিনি বলেন, এই সুযোগ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে, তা পূরণ করতে সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে হবে। পাশাপাশি সহায়ক নীতিমালাও লাগবে। এ ছাড়া ভোক্তাদের স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার মতো পরিবেশও তৈরি করতে হবে। তাহলেই প্রযুক্তিভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।

টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ জানান, বাংলাদেশ টেলিকমের অন্যতম বড় বাজার হলেও এখানে মোবাইলপ্রযুক্তিতে জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব রয়েছে। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দুটিই দরকার হবে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য। টেলিনরের জন্য বাংলাদেশ সব সময়ই প্রাধান্যের তালিকায় আছে। এখানে বিনিয়োগও অব্যাহত থাকবে।

বাংলাদেশে ফাইভ–জি বাস্তবায়নে পলিসি ফ্রেমওয়ার্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা বিবেক সুদ। তিনি বলেন, নীতির ওপর বিনিয়োগ নির্ভর করে। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য ডিজিটাল শিক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে বাংলাদেশকে আরও কাজ করতে হবে।

দারাজের গ্রুপ সিইও বিয়ার্কে মিকেলসেন গত পাঁচ বছরে ডিজিটাল কমার্স খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা বলেন। তিনি বলেন, অবকাঠামো থেকে শুরু করে ভোক্তাসহ একটা ইকোসিস্টেম গড়ে উঠেছে।

মাস্টার কার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ কামালের সঞ্চালনায় অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন ও পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির, বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রমুখ।