বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফল আমদানি বন্ধ

ফল আমদানিতে আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ফল আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার ফল আমদানি বন্ধ রেখেছে। এ কারণে আজ মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কোনো ফল আমদানি হয়নি।

সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিবার ফল আমদানিতে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে। এই শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে আমদানিকারকেরা দুই দিন আমদানি বন্ধ রেখেছেন।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নূরউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘বিলাসী পণ্য হিসেবে আমদানি করা ফলের ওপর এক বছরে তিন দফায় ৬০ থেকে ৭০ টাকা সম্পূরক শুল্ক–কর বাড়িয়েছে এনবিআর। আপেল-আঙুর-কমলা হচ্ছে শিশুখাদ্য ও রোগীর পথ্য। তাই আমরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে দুই দিন আমদানি বন্ধ রেখেছি। বৃহস্পতিবার থেকে ১৩ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবার আমদানি হবে। এ সময়ের মধ্যে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার না হলে ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ থাকবে।’

এদিকে বর্ধিত শুল্কের কারণে খুচরা বাজারে আপেল, কমলা ও আঙুরের দাম কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। রমজানের আগে এসব ফল আমদানি বন্ধ থাকলে রোজার সময়ে দামের ওপর তার বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

বেনাপোল বন্দর ও ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে যেসব খাদ্যপণ্য আমদানি হয়, তার মধ্যে বড় অংশই আপেল, আঙুর, কমলা ও মাল্টা। নতুন করে শুল্ক বাড়ানোর আগে এসব ফল আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আদায় করত কাস্টমস। তাতে প্রতি কেজি ফলে রাজস্ব দিতে হতো ১০১ থেকে ১১৫ টাকা। গত ৯ জানুয়ারি এনবিআর শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। এতে বর্তমানে কেজিতে শুল্ক–কর ১৫ থেকে ১৮ টাকা বেড়ে গেছে। তার প্রভাবে খুচরা পর্যায়ে ফলের দাম বেড়েছে। যশোরে খুচরা বাজারে এক কেজি আপেল মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৬০, মাল্টা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০, কমলা ২৫০ থেকে ৩০০ এবং আঙুর ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও ডালিম ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে রমজানের আগে ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

বেনাপোল স্থলবন্দরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ থাকায় বন্দরের রাজস্ব আয় কমেছে। ধর্মঘটে দুই দিন ফল আমদানি বন্ধে বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাবে।