পোশাক ও বস্ত্রকলমালিকদের একহাত নিলেন সালমান এফ রহমান
তৈরি পোশাকের নতুন বাজার ধরতে কৃত্রিম তন্তু (এমএমএফ) ও কৃত্রিম তন্তুর সুতা আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাওয়ায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক ও বস্ত্রকলমালিকদের নেতাদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তাঁদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘হঠাৎ আমরা ঘুম থেকে উঠে এমএমএফ-এমএমএফ করছি। এত দিন আমরা কী করলাম। ইয়ংওয়ান ২০ বছর আগে এমএমএফের পোশাক তৈরি শুরু করেছে। বিদেশি কোম্পানি এসে আমাদের দেশে করল, আর আমরা ২৫ শতাংশ প্রণোদনা নিয়ে তুলা দিয়ে পোশাক উৎপাদন করতে থাকলাম। এখন ঘুম থেকে উঠে আমরা বলছি, এমএমএফ করতে হবে, প্রণোদনা দিতে হবে। অথচ কোনো প্রণোদনা ছাড়াই ১০০ কোটি ডলারের এমএমএফের পোশাক রপ্তানি করছে ইয়ংওয়ান। এটি আমাদের উদ্যোক্তাদের বুঝতে হবে।’
ঢাকা চেম্বার, দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘প্রাক্-বাজেট আলোচনা ২০২৩-২৪: বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বস্ত্রকলমালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক আসিফ আশরাফ কৃত্রিম তন্তু ও কৃত্রিম তন্তুর সুতা আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা তুলে দেওয়ার দাবি করেন। তাঁদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সালমান এফ রহমান এ বিষয়ে ওপরের কথাগুলো বলেন।
আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, সংসদ সদস্য মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি সামির সাত্তার।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘পাকিস্তানের চেয়ে সব সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে। তবে কর-জিডিপির অনুপাতে আমরা পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে। এটা তো লজ্জার। এনবিআরের অটোমেশন ছাড়া কর-জিডিপি বাড়বে না।’ এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ছোট ব্যবসায়ীরা কর দিতে চান না।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, সেগুলো আমরা নিজেদেরই করার সিদ্ধান্ত ছিল। জুনের মধ্যে ডলারের বিনিময় হার একটিতে চলে আসছে। ব্যাংকঋণের সুদের হার বাজারভিত্তিক করে দেওয়া হবে।’