রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জে নৌবন্দর দ্রুত চালুর দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, গোদাগাড়ীতে বন্দর চালু করা হলে পাথর আমদানি যেমন সহজ হবে, তেমনি আমদানি খরচও অর্ধেকে নেমে আসবে।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ীরা এই দাবি জানান। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। সভাপতিত্ব করেন চেম্বার সভাপতি মাসুদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেন চেম্বার পরিচালক রিয়াজ আহমেদ খান। সভায় গোদাগাড়ী বন্দর চালুর বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘এনবিআরের প্রধান কাজ হলো রাজস্ব আহরণ করা। তাই আপনাদের সব দাবি মেনে নিলে সরকারের পক্ষে রাষ্ট্র পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়বে। ব্যবসায়ীরা সরকারের পক্ষে ভোক্তার কাছ থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করবেন। প্রয়োজনে বিনা মূল্যে সরকার ভ্যাট আহরণ মেশিন সরবরাহ করবে।’
রাজশাহী চেম্বারের সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরটি উদ্বোধনের এক বছর পার হলেও সেটি এখনো বন্ধ রয়েছে। অথচ পণ্য পরিবহনে সব থেকে সাশ্রয় মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। এই নৌবন্দর চালু হলে অনুমোদনপ্রাপ্ত দুটি পণ্য পাথর ও কয়লা আমদানি থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ব্যবসায়ীদের এই দাবির জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে এটি চালু করা প্রয়োজন। যদিও এটি বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ মন্ত্রণালয় দেখবে।
স্বাগত বক্তব্যে রিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘আমাদের অনেক ব্যবসায়ী ভ্যাট ও কর নিয়ে নানা জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছেন। তাই করনীতি আরও সহজ ও গ্রহণযোগ্য করতে হবে।’ আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদের জন্য এনবিআর থেকে কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রাক্-বাজেট আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সদস্য এ কে এম বদিউল আলম, মো. আবদুর রউফ প্রমুখ।