কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র—খতিয়ে দেখতে হবে
কার্গো ভিলেজের মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে যে এটি কতটা অনিরাপদ। কয়েক বছর ধরেই আমরা রপ্তানিকারকেরা অভিযোগ করে আসছি, আমাদের পণ্য খোলা জায়গায় রাখা হয়, যা নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
এই ঘটনা কেবল একটি দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে-—তা খতিয়ে দেখতে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত তদন্ত শুরু করা উচিত। কারণ, গত কয়েক দিনে স্থানীয় ও রপ্তানিমুখী একাধিক পোশাক কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম ইপিজেডে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পর কার্গো ভিলেজে এ ধরনের ঘটনা আমাদের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এ পরিস্থিতি বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যেও উদ্বেগ তৈরি করতে পারে। কার্গো ভিলেজ ব্যবহারকারীদের বড় একটি অংশ তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা, যাঁরা তুলনামূলকভাবে হালকা যন্ত্রপাতি ও ইলেকট্রনিক পণ্যের আমদানি এবং তৈরি পোশাক ও নমুনা পাঠানোর কাজে এটি ব্যবহার করে থাকেন।
আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসগুলোও এই কার্গো ভিলেজের মাধ্যমে তাদের গ্রাহকদের দলিলপত্র ও পার্সেল আকাশপথে আদান-প্রদান করে। এ ছাড়া ওষুধশিল্পের উদ্যোক্তারা কাঁচামাল আমদানির জন্য এবং কৃষিপণ্য রপ্তানিকারকেরা বিশেষ করে শাকসবজি ও অন্যান্য পচনশীল পণ্য রপ্তানির জন্য এই কার্গো ভিলেজ ব্যবহার করেন।
আমাদের রপ্তানিকারকদের ক্ষতির পরিমাণ এই মুহূর্তে নির্ধারণ করা কঠিন। তবে সম্পূর্ণ তদন্ত শেষে সামগ্রিক ক্ষতির চিত্র পাওয়া যাবে। আমরা বিকেএমইএর সদস্যদের কাছে একটি চিঠি পাঠাব, যাতে তাঁরা তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য আমাদের কাছে জমা দিতে পারেন।
লেখা: মোহাম্মদ হাতেম, সভাপতি, বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) এবং সভাপতি, এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)