বাজেট ২০২৩–২৪: টিআইএন বাতিল বা স্থগিতের সুযোগ আসছে

বাজেট ২০২৩–২৪

বর্তমানে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ নেই। ১২ সংখ্যার টিআইএন থাকলে অবশ্যই বছর শেষে আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত জানিয়ে বার্ষিক রিটার্ন জমা দিতে হয়। আগামী বাজেটে করদাতাদের এ ক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। টিআইএন বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ রাখার প্রস্তাব আসতে পারে নতুন বাজেটে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। আগামী ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এনবিআরের সূত্রগুলো বলছে, একবার টিআইএন নিলে তা আর বাতিল বা স্থগিত করার সুযোগ বর্তমান আয়কর অধ্যাদেশে রাখা হয়নি। আবার যাঁদের ১২ সংখ্যার টিআইএন আছে, তাঁদের রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক। শুধু যাঁরা জমি বেচাকেনা ও ক্রেডিট কার্ড নেওয়ার জন্য টিআইএন নেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে টিআইএন বাতিল বা স্থগিত রাখতে উপযুক্ত প্রমাণপত্র দেখিয়ে আবেদন করার সুযোগ রাখা হচ্ছে। টিআইএন থাকার মানে সবার করযোগ্য আয় প্রতিবছরই থাকবে, ব্যাপারটা তা নয়।

এ ক্ষেত্রে টিআইএন বাতিল বা স্থগিতের জন্য শর্ত হতে পারে, আগের তিন বছর ‘শূন্য রিটার্ন’ জমা দেওয়া হলে টিআইএন স্থগিত বা বাতিলের আবেদন করা যাবে। এ ছাড়া প্রবীণ টিআইএনধারীদের এই সুযোগ দেওয়া হতে পারে। কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে তাদের মালিকদেরও এই সুযোগ দেওয়া হতে পারে।

এ ছাড়া কোনো করদাতা মারা গেলে টিআইএন বাতিল করার বিধান আসতে পারে বলে এনবিআরের সূত্রগুলো জানায়। বর্তমানে কোনো টিআইএনধারী করদাতা মারা গেলেও তাঁর সম্পত্তির আয় থাকলে টিআইএন বাতিল করা যায় না।

এনবিআর সূত্রে আরও জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ১০ লাখের মতো করদাতা আছেন, নানা কারণে যাঁদের টিআইএন বাতিল বা স্থগিত করা যেতে পারে। বর্তমানে ৮৭ লাখ টিআইএনধারী আছেন। তাঁদের মধ্যে প্রতিবছর গড়ে এক-তৃতীয়াংশ করদাতা বা ৩০ লাখের মতো টিআইএনধারী রিটার্ন দেন। বাকিরা রিটার্ন জমা দেন না।

এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, যাঁদের করযোগ্য আয় নেই, টিআইএন বাতিল করা হলে এনবিআরের সার্ভার থেকে তাঁদের বাদ দেওয়া বা টিআইএন স্থগিত করে দেওয়া হবে।

এদিকে আগামী বাজেটে সর্বজনীন স্বনির্ধারণী পদ্ধতিতে বছরের যেকোনো সময় রিটার্ন দেওয়ার সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করা হতে পারে। তবে ৩০ নভেম্বর নির্ধারিত সময়ের পরে কেউ রিটার্ন দিতে চাইলে আয়করের ১ থেকে ২ শতাংশ জরিমানা কিংবা অন্য কোনো উপায়ে জরিমানা আরোপ করা হতে পারে। তাঁদের সময় বাড়ানোর আবেদন না করলেও হবে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।