বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে রাজস্ব ও শুল্ককাঠামোয় সংস্কার দরকার
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হলেই আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা হারাবে। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত পণ্য বহির্বিশ্বে রপ্তানির ক্ষেত্রে ৮-১৬ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ককাঠামোয় পরিবর্তন আনতে হবে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে দেশের রাজস্ব ও শুল্ককাঠামোর আমূল সংস্কার ও অটোমেশন নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘প্রতিযোগিতামূলক শুল্ককাঠামো: প্রেক্ষিত স্বল্পোন্নত দেশে উত্তরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা চেম্বারে বুধবার অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের যুগ্ম প্রধান মো. মশিউল ইসলাম। আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য শীষ হায়দার চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফারহানা আইরিছ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব মো. নিয়োমুল ইসলাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের রাজস্ব ও শুল্ককাঠামোর আমূল সংস্কার, নীতিমালা সহজীকরণ, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তির পাশাপাশি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলোতে নিজেদের অন্তর্ভুক্তি জরুরি।
মো. মশিউল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ গত অর্থবছরে ৫ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। শীর্ষ রপ্তানি হওয়া ২০টি পণ্যের মধ্যে ১৮টিই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা ভোগ করেছে। এলডিসি উত্তরণের পর আমাদের উদ্যোক্তারা এ সুবিধাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন। এ অবস্থায় বৈশ্বিক বাজারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেসরকারি খাতকে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়াতে এখনই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য বাণিজ্য সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে দ্রুততম সময়ে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর (এফটিএ) করা প্রয়োজন। এ ছাড়া পরিবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশে একটি ‘ন্যাশনাল ট্যারিফ পলিসি’ থাকা দরকার।