রাজশাহীতে সর্বজনীন পেনশন মেলা 

জনগণকে পেনশন কর্মসূচির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে প্রথম ধাপে গতকাল রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সর্বজনীন পেনশন মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় পেনশন কর্মসূচি সম্পর্কে খোঁজ নেন গ্রাহক-দর্শনার্থীরাছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীতে গতকাল শুক্রবার সর্বজনীন পেনশন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনগণকে পেনশন কর্মসূচির প্রতি আগ্রহী করে তুলতে প্রথম ধাপে রাজশাহীর হাজী মুহম্মদ মুহসীন সরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করা হয়। এতে মোট ১২৫টি স্টল অংশ নেয়। পরে সারা দেশে পেনশন মেলার আয়োজন করা হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে রাজশাহীতে এ মেলার উদ্বোধন করেন। রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান, রাজশাহীর ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান প্রমুখ।

এই পেনশন নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন আছে উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘প্রথম প্রশ্ন, আমার টাকা কি আমি পাব? আপনার টাকা আপনি সরকারকে দিচ্ছেন। আচ্ছা, সরকারি ব্যাংকে টাকা রাখলে কি মানুষ ফেরত পান? আপনি টাকা ফেরত পেলে আপনার টাকা নিরাপদ। আপনার টাকা পেনশন কর্তৃপক্ষের কাছেও নিরাপদ। সরকারের কাছে এই টাকা থাকবে। এই টাকা নিরাপদ বিনিয়োগ করে যে লাভ হবে, সেই টাকা দিয়ে আপনাদেরকে পেনশন দেবে। অনেক “হায় হায়”কোম্পানি আছে। সেখানে লোভ দেখিয়ে টাকা নেওয়া হয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিম রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাসী’ ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’ স্কিম নেওয়া হয়েছে।

এদিকে গতকাল স্থানীয় কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা। কর্মশালায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ্ ও এনজিও-বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক সাইদুর রহমান।