যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভালো আছে: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদফাইল ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ভালো আছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। কারণ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কোম্পানির বকেয়া পরিশোধ করে দেওয়ার কথা তুলে ধরেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের শেভরন, এক্সিলারেট এনার্জি ও মেটলাইফের বকেয়া পরিশোধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করে ইউএস চেম্বার আমাকে চিঠি লিখেছে।’

আজ বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এবং অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে পাল্টা শুল্ক (৩৫ শতাংশ) আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, সে হার দেশটি কিছুটা কমাবে হবে বলে আশাবাদী সালেহউদ্দিন আহমেদ। আশাবাদী হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘাটতি তো খুব কম। ৬৫০ কোটি মার্কিন ডলারের মতো।’

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কার্যকরের আর আট দিন বাকি। এর মধ্যে দেশটির সঙ্গে আলোচনা ও দর-কষাকষি করতে বাংলাদেশের প্রস্তুতি কেমন, জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আলোচনা করতে আগামী ১ আগস্টের আগেই বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাবে।

অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটিতে নীতিগত অনুমোদনের পর সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে আজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টন গম আনার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা একটু বৈচিত্র্য আনতে চাচ্ছি। অনেক সময় রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে গম আমদানিতে অনিশ্চয়তা দেখা যায়। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এখন আমাদের আমদানি বৃদ্ধির দর-কষাকষি চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের গমের মানও ভালো।’

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের গমের দাম যে তুলনামূলক বেশি, এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দাম একটু বেশি হলেও অন্যদিক দিয়ে সুবিধা পাওয়া যাবে। তাদের গমে আমিষ কিছুটা বেশি। খুব বেশি, তা নয়, একটু বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র ঘোষিত পাল্টা শুল্কের হার কমানো নিয়ে দর-কষাকষি করতে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে লবিস্ট নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, লবিস্ট নিয়োগের প্রসঙ্গ নেই এখানে। লম্বা সময় নিয়ে দর-কষাকষির ক্ষেত্রে সাধারণত এ ধরনের লবিস্ট নিয়োগ করা হয়। এখানে যা করতে হবে, জলদি করতে হবে।

লবিস্টদের প্রতি ইঙ্গিত করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘ওরা তো ঢুকতেই পারবে না, ওই অফিসের কাছাকাছি। দর-কষাকষি তো দূরের কথা।’