ফুডপ্যান্ডাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

এমজিএইচ রেস্টুরেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্র্যান্ড ন্যান্ডোস ও পেয়ালার ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমিত করার অভিযোগে ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম (খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার প্রতিষ্ঠান) ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন (বিসিসি)। প্রতিযোগিতা আইন ২০১২-এর ১৬ ধারা ভঙ্গ করায় তিন বছর আগের একটি মামলার রায়ে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটি।

আজ মঙ্গলবার বিসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এমজিএইচ রেস্টুরেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের করা অভিযোগ ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায়’ ফুডপ্যান্ডাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা আরোপের ক্ষেত্রে এই অপরাধ প্রথমবার ঘটার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছে কমিশন। এখন থেকে রেস্তোরাঁগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতাবিরোধী কোনো চুক্তি না করার জন্য ফুডপ্যান্ডাকে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ফুডপ্যান্ডার ‘কর্তৃত্বময় ও একচেটিয়া অবস্থানের অপব্যবহার রুখতে’ নির্দেশনা দিয়েছে বিসিসি।

রায় দেওয়ার সময় কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কর্তৃত্বময় অবস্থানে আছে। প্রতিষ্ঠানটি তার এই প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করে এমজিএইচ রেস্টুরেন্টস প্রাইভেট লিমিটেডের দুটি ব্রান্ড ন্যান্ডোস ও পেয়ালার ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমিত করে প্রতিযোগিতা আইনের লঙ্ঘন করেছে। কমিশন জানিয়েছে, অন্যান্য খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব স্থাপনের ক্ষেত্রে রেস্তোরাঁগুলোকে বাধা প্রদান না করতে ফুডপ্যান্ডাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, দফায় দফায় শুনানির মাধ্যমে ফুডপ্যান্ডার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত এসেছে। কমিশনে আরও বেশ কিছু মামলার নিয়মিত শুনানি চলছে। প্রতিযোগিতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ফুডপ্যান্ডার বক্তব্য

প্রতিযোগিতা কমিশনের দেওয়া আদেশের ব্যাপারে ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ প্রথম আলোকে জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সাম্প্রতিক আদেশ সম্পর্কে ফুডপ্যান্ডা অবহিত রয়েছে। আইন ও বিধির প্রতি আমরা সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, যেসব তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে ফুডপ্যান্ডার অবস্থান সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি। আমরা এ আদেশ পর্যালোচনা করছি।’

ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশ আরও জানিয়েছে, ‘যথাযথ আইন মেনে আপিল করার সিদ্ধান্তও আমরা নিয়েছি। আমাদের গ্রাহক ও ফুড ডেলিভারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবার প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সেবার মান, উদ্ভাবনী চর্চা ও দেশের ফুড ডেলিভারি খাতের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে আমরা নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’