জ্বালানি–বিদ্যুতের দাম সমন্বয় যেন একমুখী না হয়

বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকার তেলের পাশাপাশি সম্প্রতি বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। এতে বেসরকারি খাত চাপে পড়বে। এক বিবৃতিতে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. সামীর সাত্তার বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তবে দাম সমন্বয় যেন একমুখী না হয়, অর্থাৎ বিশ্ববাজারে দাম কমলে যেন দেশেও কমানো হয়।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে সরকার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করছে। তবে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশা করেন, সরকার স্থানীয় শিল্প ও বেসরকারি খাতে যেন বেশি মাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেটি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুতের মূল্য পরবর্তীকালেও যৌক্তিকভাবে সমন্বয় করবে।

এদিকে সরকার প্রতি মাসেই জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ের পরিকল্পনা করছে এবং এ–সংক্রান্ত কৌশল নির্ধারণের কাজ চলছে। সরকারের কাছে চেম্বারের সভাপতির আহ্বান, সরকার যেন বিদ্যুতের মূল্য সহনশীলভাবে ও ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি করে, যাতে বেসরকারি খাত অপ্রত্যাশিত বর্ধিত ব্যয়ের বোঝা এড়াতে পারে। সামীর সাত্তার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল্যবৃদ্ধির হয়তো বিকল্প নেই, তবু সরকারের উচিত একটি অনুমানযোগ্য মূল্য নির্ধারণ নীতিমালা নিশ্চিত করা, যাতে এ ধরনের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সম্পর্কে বেসরকারি খাত আগেভাগেই প্রস্তুতি নিতে পারে।

এতে তাদের পক্ষে কৌশলী সিদ্ধান্ত নেওয়া সুবিধাজনক হবে। সামীর সাত্তারের মত, জ্বালানির মূল্য সমন্বয় কোনোভাবেই একমুখী হওয়া ঠিক হবে না। অর্থাৎ বিশ্ববাজারে দাম কমলে যেন জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম কমানো হয়।

দেশের অর্থনীতি জ্বালানি আমদানির ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরশীল। এ অবস্থায় নবায়নযোগ্য ও বিকল্প জ্বালানির উৎস খুঁজে বের করতে এবং একই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রমে প্রাধান্য দিতে সামীর সাত্তার সরকারের আছে আহ্বান জানান। বিদ্যুৎ স্বল্পতার সংকট মোকাবিলায় সরকারের উচিত নিয়মিতভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা যাচাই ও সিস্টেম লস কমানো।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মনে করেন, শিল্প ও বিনিয়োগ খাতে দেশের সক্ষমতা ধরে রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের বিকল্প নেই।