ডলারের দামে পার্থক্য কমে আসায় বাড়ছে প্রবাসী আয়

প্রবাসী আয়ছবি প্রথম আলো

প্রবাসী আয়ে যে মন্দার ধারা ছিল, তা কিছুটা কমে এসেছে। চলতি মাসের প্রথম ১৬ দিনে (১-১৬ ডিসেম্বর) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। এ জন্য মাসের শেষে মোট আয় ২০০ কোটি ডলার ছুঁতে পারে বলে মনে করেন ব্যাংকাররা। গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসেই প্রবাসী আয় ১৬০ কোটি ডলারের নিচে ছিল। এর আগের দুই মাস প্রবাসী আয় অবশ্য ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল।

খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, নতুন বছরে একটি পরিবারের নানা ধরনের বাড়তি খরচ যুক্ত হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খরচ এগুলোর অন্যতম। এই কারণে চলতি মাসে অনেকে পরিবারের জন্য বাড়তি ডলার পাঠাচ্ছেন। আবার অবৈধ পথ ও ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামে পার্থক্য কমে আসাতেও বৈধ পথে আয় আসা বেড়েছে।

আরও পড়ুন

ব্যাংকগুলো এখন রপ্তানি আয়ের বিপরীতে প্রতি ডলারের দাম দিচ্ছে ১০১ টাকা। আর প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা। এ ছাড়া ব্যাংকগুলো একে অপরের কাছে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দামে ডলার বিক্রি করছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে ১৬ দিনে ইসলামী ব্যাংক ২৬ কোটি ৩৯ লাখ ডলার, অগ্রণী ব্যাংক ৬ কোটি ৩০ লাখ, ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংক ৫ কোটি ২৯ লাখ ও সোনালী ব্যাংক ৪ কোটি ৭১ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এনেছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৯৬০ কোটি ডলার। ফলে চলতি মাসে ২০০ কোটি ডলার আয় এলেও তা ২২ বিলিয়ন ডলার ছোঁবে না।

আরও পড়ুন

এদিকে বিশ্বব্যাংকের মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ব্রিফ ৩৭-এ বলা হয়েছে, চলতি ২০২২ সালে বাংলাদেশে প্রায় ২১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ প্রবাসী আয় আসতে পারে, যা ২০২১ সালে ছিল ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার।

করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালে বাংলাদেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় আসে। তখন যাতায়াত সমস্যার কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় আসা কমে গিয়েছিল। এ জন্য আনুষ্ঠানিক পথে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছিল।

আরও পড়ুন