অনলাইনে উৎসে কর দিলে কমবে ভোগান্তি

ই–টিডিএস নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বুধবার চট্টগ্রামের আইসিএবি কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে।
প্রথম আলো

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সবার কাছ থেকে উৎসে কর কেটে রেখে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। আগে কাগজপত্র নিয়ে সশরীর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) গিয়ে উৎসে কর ও এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হতো। এখন পুরো ব্যবস্থাটাই বদলে গেছে। ঝামেলা ছাড়াই সহজে অনলাইনে উৎসে কর জমা দেওয়া যায়।

নতুন প্রবর্তিত এই ইলেকট্রনিক ট্যাক্স ডিডাক্ট অ্যাট সোর্স বা ইলেকট্রনিক উপায়ে উৎসে কর কর্তন (ই-টিডিএস) পদ্ধতি নিয়ে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরের আগ্রাবাদে অবস্থিত দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সম্মেলনকক্ষে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় শতাধিক কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মশালার আয়োজক ছিল এনবিআর ও চট্টগ্রাম আয়কর বিভাগ।

কর্মশালায় আলোচক ছিলেন এনবিআরের সদস্য প্রদ্যুৎ কুমার সরকার ও মোহাম্মদ জাহিদ হাছান। আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২-এর কর কমিশনার সামিয়া আখতার ও কর অঞ্চল-৪-এর কর কমিশনার ছাবিনা ইয়াসমিন, আইসিএবির সহসভাপতি সিদ্ধার্থ বড়ুয়া প্রমুখ।

আলোচনায় প্রদ্যুৎ কুমার সরকার বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তির কারণে এখন আমাদের বিশ্বের আধুনিক ব্যবস্থার সঙ্গে মিল রেখে চলতে হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় উৎসে কর কর্তন ও রিটার্ন প্রস্তুতের জন্য গত বছরের অক্টোবরে ই-টিডিএস–ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।’

মোহাম্মদ জাহিদ হাছান বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে ই-টিডিএস থেকে পাওয়া গেছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। এ বছর তা আরও বাড়বে। নতুন এ ব্যবস্থায় রাজস্ব আদায়ের ফলে করদাতাদের ভোগান্তি কমবে।

কর্মশালায় ই-টিডিএস পদ্ধতি ব্যবহারের খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় কোম্পানির প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হয়।

কর্মশালায় জানানো হয়, এনবিআরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই-টিডিএস নিবন্ধন নেওয়া যায়। নিবন্ধন নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যালয়ে বসেই এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন ও উৎসে কর এনবিআরে জমা দিতে পারেন।

ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়েছে। নতুন এ পদ্ধতিটির ব্যবহার যত বাড়বে কাগজপত্রের ব্যবহার তত কমে আসবে। নথিপত্র নিয়ে করদাতাদের আর কর কার্যালয়ে দৌড়াতে হবে না।