মহার্ঘ ভাতা কি সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতে দেওয়া হচ্ছে: সিপিডি
সরকার মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এখন যে ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হয়, তার বদলে এটি দেওয়া হবে। এতে সরকারি ব্যয় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের(সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, এটা কি সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতে করা হচ্ছে?
ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, অন্যদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া না হলে মূল্যস্ফীতির চাপে পড়বে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া এই বরাদ্দ দেওয়ার সময় নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সিপিডির তৃতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পর্যালোচনায় এসব কথা বলেন ফাহমিদা খাতুন। বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
এদিকে চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা আদায়ে বছরের বাকি সময়ে ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। অর্থ বছর শেষ হবে আগামী ৩০ জুন। এই সময়ে এটা আদায় করা প্রায় অসম্ভব হবে বলে মনে করছে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
এর আগে মার্চ মাসে তারা জানিয়েছিল, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি হতে পারে ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ফাহমিদা খাতুন। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আদায় করা রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৮ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। এ ছাড়া জুলাই-জানুয়ারি সময়ে সামগ্রিক রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ।
ফাহিমদা খাতুন মনে করেন, এনবিআরের চলমান সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা উচিত।