রপ্তানি ধরে রাখতে এফটিএ ও পিটিএ করার তাগিদ

স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে ২০২৬ সালে উত্তরণের পর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বাংলাদেশ। যেমন বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা দিতে পারবে না।

কর অব্যাহতি বর্তমানে যা দেওয়া হচ্ছে, তা–ও কমিয়ে আনতে হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন সুবিধা বাদ দিতে হবে এবং কমিয়ে আনতে হবে আমদানি পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক।

এসব কারণে রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে যেতে পারে বাংলাদেশের। পাশাপাশি রাজস্ব আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সে জন্যও বিকল্প উপায় বের করার সময় এখনই।

এলডিসি থেকে উত্তরণ–পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, তার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা গ্রহণ, বাস্তবায়ন ও তদারকি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটির কর্মশালায় এসব কথা উঠে এসেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগে গতকাল শনিবার এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল এসব কথা জানানো হয়।

অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস প্রধান অতিথি ছিলেন। অংশীজনদের মধ্যে ছিলেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়দী সাত্তার প্রমুখ। প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে নগদ সহায়তা পাওয়া খাতগুলোতে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের যে শর্ত রয়েছে, এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার পর তা বাদ দেওয়ার সুপারিশ এসেছে।

বলা হয়েছে, রপ্তানির ক্ষেত্রে বর্তমানে এলডিসি হিসেবে যেসব শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়, তা থাকবে না। তাই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করতে হবে। এ ছাড়া কর অব্যাহতির অপ্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে রাজস্ব প্রশাসনে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।