শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি শেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে দিনাজপুর স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শনিবার সকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় কাঁচা মরিচ বোঝাই ট্রাক আসতে শুরু করেছে।
ছুটি শেষে হিলি বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আসতে শুরু করায় আজ স্থানীয় বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে। বন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা ৮ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গিয়েছিল। আমদানি বাড়তে থাকলে দামও কমে আসবে বলে জানান তাঁরা।
হিলি স্থলবন্দর কাস্টম বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারত থেকে ৪টি ট্রাকে প্রায় ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। রোববার দুপুর পর্যন্ত আরও ৪টি ট্রাকে ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা কাঁচা মরিচের ট্রাক দ্রুত খালাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খালাস করা কাঁচা মরিচ দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকারি ক্রেতারা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে কাঁচা মরিচের দামও ধীরে ধীরে কমে আসবে।
আমদানিকারকেরা বলেন, ভারতে বৃষ্টির কারণে আমদানির গতি কিছুটা কম। তারপরও আমদানির বাড়াতে এ দেশের ব্যবসায়ীরা ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
* গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভারত থেকে ৪টি ট্রাকে প্রায় ৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে।
* হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।
হিলি স্থলবন্দরের কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্গাপূজায় বন্ধের কারণে কাঁচা মরিচের বাজার ঊর্ধ্বমুখী ছিল। আমদানি শুরু হওয়ায় দাম এখন কমে আসবে। রোববার হিলি স্থলবন্দরে পাইকারিতে মানভেদে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে এই দাম ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ বিভাগের কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, যেহেতু কাঁচা মরিচ পচনশীল পণ্য, তাই আমদানি করা মরিচ দ্রুত ছাড় করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে আমদানিকারকদের। প্রতি টন কাঁচা মরিচ ৫০০ ডলারে শুল্কায়ন করা হচ্ছে। আর প্রতি কেজিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা।