পল্লবীতে টিসিবির সেই সরবরাহকারীর দোকানে পণ্য মিলল আজ

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী এলাকায় টিসিবির এক সরবরাহকারীর দোকানে গতকাল মঙ্গলবার দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও কয়েক শ মানুষ পণ্য কিনতে পারেননি। বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পণ্য বিক্রি বন্ধ রেখেছিল আশরাফ ট্রেডার্স নামের ওই সরবরাহকারী। তবে আজ বুধবার সকাল থেকে সেখানে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সারা দেশে এক কোটি ‘পরিবার কার্ড’-এর মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করে। ঢাকা উত্তর সিটির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত পল্লবীর ওই দোকানে গতকাল থেকে মার্চের পণ্য বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু বিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে গতকাল বিকেল পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করেননি টিসিবির ওই সরবরাহকারী। এ কারণে পণ্য কিনতে গিয়েও পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফেরেন কয়েক শ গ্রাহক।

তবে আজ সকাল থেকে সেখানে পণ্য বিক্রি করা হবে বলে গতকাল জানিয়েছিল আশরাফ ট্রেডার্সের মালিকের সহকারী গুলজার হোসেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ সকাল ৯টা থেকে সেখানে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আজ দুপুরে গুলজার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আজ সকাল ৯টা থেকে পণ্য বিক্রি শুরু করেছি। গতকাল যে বিশৃ্ঙ্খলা ছিল, সেটা আজ নেই।’

গতকাল একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চলতি মাসে বিতরণের জন্য গত সোমবার দুই হাজার কার্ডের বিপরীতে টিসিবির কাছ থেকে পণ্য বুঝে পায় আশরাফ ট্রেডার্স। সেই খবর পেয়ে গতকাল সকালে টিসিবির পরিবার কার্ডধারী পাঁচ শতাধিক গ্রাহক সাশ্রয়ী দামে পণ্য কিনতে ভিড় করেন দোকানটির সামনে।

সকালে দোকান খোলার পর সেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। একপর্যায়ে দোকানমালিক পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। এরপর গতকাল আর পণ্য বিক্রি করেনি প্রতিষ্ঠানটি। অপেক্ষমাণ গ্রাহকদের তারা জানায়, আগামীকাল (আজ বুধবার) থেকে পণ্য বিক্রি করা হবে।

তবে পণ্য কিনতে আসা গ্রাহকেরা অভিযোগ করেন, দোকান থেকে পণ্য দিতে দেরি করায় লাইনে দাঁড়ানো ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হন।

পবিত্র রমজান উপলক্ষে কার্ডধারী একজন গ্রাহকের কাছে এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি ছোলা বিক্রি করছে টিসিবি। এসব পণ্যের প্যাকেজের মূল্য ২৯০ টাকা। এসব পণ্যের বাইরে শুধু ঢাকায় এক কেজি খেজুরও দিচ্ছে টিসিবি। ঢাকার বাইরে সারা দেশে টিসিবির পণ্যতালিকায় এখনো খেজুর নেই।

টিসিবি সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারি থেকে কার্ডধারী ব্যক্তিদের মধ্যে সাশ্রয়ী দামে পণ্য বিক্রি শুরু হলেও ফেব্রুয়ারিতে সংস্থাটি কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি পরিবেশকদের কাছে। সবশেষ ৯ মার্চ থেকে টিসিবি আবারও সরবরাহকারীদের কাছে পর্যায়ক্রমে পণ্য সরবরাহ শুরু করে।