ভাড়া দেওয়া যাবে কার্ডে

র‍্যাপিড পাসছবি: প্রথম আলো

এক কার্ড দিয়ে চলাচল করা যাবে সব গণপরিবহনে। ‘র‍্যাপিড পাস’ নামের এই কার্ড অনেকটা ক্রেডিট কিংবা ডেবিট কার্ডের মতোই কাজ করে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) চালু করা র‍্যাপিড পাসের ফলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের সুযোগ বন্ধ হবে।

ডিটিসিএ বেশ কয়েক বছর আগে ‘ওয়ান কার্ড ফর অল ট্রান্সপোর্ট’ (সব গণপরিবহনে একক কার্ড) চালুর উদ্যোগ নেয়। এই লক্ষ্যে ২০১৫ সালে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) সহযোগিতায় একটি পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়। বর্তমানে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব ক্লিয়ারিং হাউস ফর ইন্টিগ্রেটিং ট্রান্সপোর্ট টিকিটিং সিস্টেম ইন ঢাকা সিটি অ্যান্ড অ্যাডজাসেন্ট ডিস্ট্রিক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটির দ্বিতীয় পর্যায় চলছে। প্রকল্পটি সংক্ষেপে ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ নামে পরিচিত।

প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে গুলশানের ঢাকা চাকা ও হাতিরঝিলের চক্রাকার বাস সার্ভিসে পরীক্ষামূলকভাবে র‍্যাপিড পাস চালু করা হয়। এরপর মেট্রোরেল ও বিআরটিসির দুটি রুটে এই র‍্যাপিড পাস চালু হয়েছে। প্রকল্পের অধীনে আরও বেশি গণপরিবহনে এই সেবা চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, র‍্যাপি পাস চালুর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, ক্যাশলেস (নগদ টাকাহীন) লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের সময় বাঁচানো। সর্বশেষ ২০ মার্চ ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথে চলাচলকারী বিআরটিসি বাসে র‍্যাপিড পাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। 

প্রাথমিকভাবে ডাচ্​–বাংলা ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখায় কার্ড গ্রহীতার নাম ও মুঠোফোন নম্বরসহ ৪০০ টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধনের মাধ্যমে র৵াপিড পাস কার্ড সংগ্রহ করা যাচ্ছে। পরবর্তী সময় তা সব শাখা থেকেই সংগ্রহ করা যাবে।

ডিটিসিএর ক্লিয়ারিং হাউস প্রকল্পের পরিচালক মো. মামুনুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রেল, সড়ক ও নৌপথের সব গণপরিবহনে যেন একটি র‍্যাপিড পাসের মাধ্যমে ভাড়া পরিশোধ করা যায়, সে পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। ধীরে ধীরে র‍্যাপিড পাসের পরিসর বাড়ানো হবে। কার্ডে ভাড়া পরিশোধ করা গেলে যাত্রীদের ভ্রমণ হবে স্বচ্ছন্দ, নিরবচ্ছিন্ন ও ঝামেলাহীন।