পেশাজীবীদের করের আওতায় আনার কাজ চলছে: এনবিআর চেয়ারম্যান

সরকার বিভিন্নভাবে করজাল বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এর অংশ হিসেবে তালিকা করে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির নাগরিকদেরও করজালের মধ্যে আনতে কার্যক্রম শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় এসব কথা বলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এখনো অনেকে আছেন, যাঁরা কর প্রদানের যোগ্য, কিন্তু প্রভাবশালী। তাঁদের কর প্রদানের কথা বলতে গেলেই বিরক্তি প্রকাশ করেন। তবে এনবিআর ধারাবাহিকভাবে করজাল বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

প্রাক্–বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) প্রস্তাবে বলা হয়, দেশের ৫ শতাংশ মানুষ ২৫ শতাংশ আয় করেন। সংখ্যার হিসাবে তাঁদের সংখ্যা আনুমানিক ৫০ লাখ। এই শ্রেণির মধ্যে ব্যবসায়ী ছাড়াও চিকিৎসক, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী রয়েছেন। এনবিআরের করজাল বাড়ানোর অগ্রাধিকার তালিকায় তাঁদের রাখা উচিত।

এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে যাঁদের কর প্রদানের যোগ্য বলে মনে করা হয়, তাঁরা করজালের আওতায় আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। আমরা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য, জেলা চেম্বারের সদস্য, বড় বড় বিপণিবিতানের দোকানমালিকদের তালিকা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে দেখছি।

তাঁদের সবাইকে কীভাবে করজালের মধ্যে নিয়ে আসা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
এ ছাড়া রাজধানীসহ বিভাগীয় ও জেলা শহরের বাড়ির মালিক যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও একটা তালিকা করার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, বাড়ির মালিকদের মধ্যে স্থানভেদে নির্দিষ্ট আকারের (করযোগ্য বলে অনুমিত) বাড়ি যাঁদের রয়েছে, তাঁদের করজালের মধ্য নিয়ে আসা হবে।

আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, করজাল বাড়ানোর ক্ষেত্রে প্রথমে কিছু শর্ত আরোপ করা যেতে পারে। যেমন কেউ নির্দিষ্ট পরিমাণ (করযোগ্য বলে অনুমিত) সম্পদ বা সেবা নিতে গেলে প্রথমেই তাঁকে কর প্রদানের প্রমাণ দেখাতে হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে করজাল বাড়ানো হবে। তবে এ জন্য দীর্ঘ সময় নেওয়া যাবে না। দ্রুততম সময়েই এসব কাজ করতে হবে।