বাজেটে করের চাপ কমানো হবে

  • শুল্ক-কর কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।

  • হয়রানি বন্ধের উদ্যোগের সুপারিশ।

  • পোশাক, জুস, বিস্কুটসহ বিভিন্ন পণ্যে বাড়তি ভ্যাট প্রত্যাহার।

  • ক্রেডিট কার্ড নিতে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া।

প্রথম আলো আয়োজিত আলোচনা সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান (বাঁয়ে) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরছবি: প্রথম আলো

আগামী বাজেটে করের চাপ কমানো হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, আগামী বাজেটে শুল্ক-কর যৌক্তিক করে ব্যবসাবান্ধব করা হবে। কর দেওয়ার ব্যবস্থাও সহজ করা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরও করব্যবস্থাকে সহজ করার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, পণ্য আমদানি, উৎপাদন ও বিক্রি পর্যন্ত ১০ শতাংশের বেশি ভ্যাট থাকা উচিত নয়, যা বর্তমানে ১৫ শতাংশ।

অন্যদিকে যাঁরা নিয়মিত কর দেন, তাঁদের ওপর প্রতিবছর করের চাপ না বাড়িয়ে করের জাল বৃদ্ধি করার সুপারিশ করেন ব্যবসায়ীরা। করদাতাদের অযথা হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানান তাঁরা। সম্প্রতি ভ্যাট বাড়ানোর ফলে বাজারে পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে, তা-ও জানান ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়ছে। তাই ওই সব পণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবি জানান তাঁরা।

গতকাল বুধবার প্রথম আলো আয়োজিত ‘ডিজিটাল লেনদেনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা: প্রেক্ষিত ভ্যাট বৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়। কারওয়ান বাজার প্রথম আলো ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি ভ্যাট বাড়ানোর ফলে পোশাক, জুস, বিস্কুট, আকাশপথে টিকিটসহ বিভিন্ন খাতে যে প্রভাব পড়ছে, তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা তুলে ধরেন। আবার পর্যটন বা ভ্রমণের টিকিটের কমিশনের ওপর অযৌক্তিক হারে উৎসে কর কেটে রাখার কথাও বলা হয়। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড নিতে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থা জোরদার করার পক্ষে মত দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান ব্যবসায়ীদের এসব যুক্তির সঙ্গে একমত হন। বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীদের আগামী বাজেটে কী ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে, এর কিছু ধারণা দেন। তিনি জানান, ব্যবসায়ীদের যেন কষ্ট না হয়, তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আয়কর ও ভ্যাট হার যৌক্তিক করা হবে। আমদানি পর্যায়ে শুল্কহারও যৌক্তিক করা হবে। শুল্ক-করহারে বড় পরিবর্তন আসবে। যেখানে শুল্ক-কর আদায়ের সুযোগ আছে, সেখানে করের জাল বাড়ানো হবে। এনবিআরের ওপর বাড়তি রাজস্ব আদায়ের চাপের কারণে নিয়মিত করদাতাদের ওপর চাপ পড়ছে বলে মনে করেন এনবিআর চেয়ারম্যান। আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হবে বলেও জানান তিনি।

সম্প্রতি ভ্যাট বাড়ানোর ফলে পোশাক, জুস, বিস্কুট, আকাশপথে টিকিটসহ বিভিন্ন খাতে যে প্রভাব পড়ছে, তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা তুলে ধরেন। আবার পর্যটন বা ভ্রমণের টিকিটের কমিশনের ওপর অযৌক্তিক হারে উৎসে কর কেটে রাখার কথাও বলা হয়। এ ছাড়া ক্রেডিট কার্ড নিতে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

রাজস্ব খাত সংস্কারে তিন-চার বছর লাগবে

রাজস্ব সংস্কার করতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। কর প্রশাসন ও করনীতি আলাদা করার উদ্যোগকে স্বাগত জানান তিনি।

অনলাইনে কর ও শুল্ক দেওয়ার ব্যবস্থা চালুর পরামর্শ দিয়ে গভর্নর বলেন, এটা না করা গেলে রাজস্ব ব্যবস্থায় দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে না। আগামী জুন মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ভালো অগ্রগতি হবে মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।

মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজেদের মধ্যে আন্তলেনদেনের ব্যবস্থা ‘বিনিময়’-এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের শেল কোম্পানির বিনিয়োগ আছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

দাম বাড়িয়ে আমরা ভোক্তার ওপর পয়সা আদায় করি না। আমরা চাই কৃষকেরা যেন আরও বেশি আম, টমেটো, মরিচ উৎপাদন করুক। দেশের ভেতরে করের বোঝা বেশি হলে প্রতিযোগিতাসক্ষম হতে পারব না।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী

কর আদায়ে জবাই করব, তা হতে পারে না

অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, ‘সরকারের ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হবে। সারা জীবন আমরা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করব। আর কর আদায়ের জন্য একই করদাতাকে “জবাই” করব, তা হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘উৎপাদনশীল খাত ছাড়া কর্মসংস্থান বাড়ানোর সুযোগ খুবই সীমিত। অথচ দেশে কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ দেশ থেকে বিনিয়োগও সরে যাচ্ছে।’

এ সময় তাইওয়ানের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদের যৌথ বিনিয়োগ উদ্যোগের উদাহরণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যার কারণে তারা ইন্দোনেশিয়ায় সরিয়ে নিচ্ছে। এর অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে জানিয়েছে, এ দেশে উৎপাদন খরচ নিয়ে আগাম ধারণা করা যায় না।’

সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর জানান, ‘দেশে ব্যবসার খরচ অনেক বেড়ে গেছে। প্রতিযোগী দেশগুলো কীভাবে ব্যবসার খরচ কমাচ্ছে, তা দেখতে ভারত, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়াকে উদাহরণ হিসেবে নিতে পারি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সামনে কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ সবচেয়ে বেশি।’

দেশের ছোট ব্যবসায়ীদের ডিজিটাল লেনদেনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য ভারতের উদাহরণ দেন নাসিম মঞ্জুর। তিনি বলেন, ‘আমাজন গ্লোবাল সেলিং প্রোগ্রামের আওতায় তারা পাঁচ বছরে প্রায় দেড় লাখ ভারতীয় রপ্তানিকারক অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসেছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বসে ছোট ছোট জুতা প্রস্তুতকারক, ফুল প্রস্তুতকারকেরাও তাঁদের পণ্য রপ্তানির সুযোগ পেয়েছেন। আমাদের দেশেও এ ধরনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থা চালু করতে পারলে টাকাও অন্য কোথাও যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।’

সরকারের ব্যয় সংকোচনের মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হবে। সারা জীবন আমরা আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি করব। আর কর আদায়ের জন্য একই করদাতাকে “জবাই” করব, তা হতে পারে না।
অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর

বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় ভ্যাট কমান

২৫ টাকার জুসে ৮ টাকা শুল্ক-কর হিসেবে দিতে হয় বলে জানান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী। সম্প্রতি জুস, ড্রিংক, কেক, আচার, চাটনি, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, টমেটো সসসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমানোর দাবি জানান তিনি।

আহসান খান চৌধুরী বলেন, ‘দাম বাড়িয়ে আমরা ভোক্তার ওপর পয়সা আদায় করি না। আমরা চাই কৃষকেরা যেন আরও বেশি আম, টমেটো, মরিচ উৎপাদন করুক। দেশের ভেতরে করের বোঝা বেশি হলে প্রতিযোগিতাসক্ষম হতে পারব না।’ তাঁর মতে, বাংলাদেশ হয়ে গেছে কম ব্যবসা, বেশি কর, কম লেনদেন। তাই কর কমিয়ে ব্যবসা বাড়ানোর সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ব্র্যান্ড পোশাকে ভ্যাট–হার আগের মতো সাড়ে ৭ শতাংশে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান লা রিভের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুন্নুজান নার্গিস। ব্র্যান্ড পোশাকে ১০ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। মুন্নুজান নার্গিস বলেন, নতুন ভ্যাট–হার কার্যকর করার ক্ষেত্রে সময় দেওয়া উচিত। তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হলে অসুবিধা হয়, সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হয়। সামনে ঈদের মৌসুম, তাই বেচাকেনার স্বার্থে ভ্যাট আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা দরকার।

কর কর্মকর্তারা যদি ব্যবসায়ীদের সক্ষমতার চেয়ে বেশি কর আরোপ করেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কি বাপ-দাদার জমি বিক্রি করে কর দেবেন?
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আবদুর রহমান খান

শেয়ারট্রিপের এমডি সাদিয়া হকের মতে, হজ ও ওমরাহ বাদে অন্যান্য ভ্রমণে ভ্যাট ও আয়কর দিতে হয়, সেটা না থাকলে এই খাত অনেক প্রণোদনা পেত। ট্যুর অপারেটরদের বলা হয়েছে, দেশের ভেতরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ কর দিতে হবে মোট মূল্যের ওপর। এটা কিন্তু আয়ের ওপর নয়।

দেশীয় আসবাবের ব্র্যান্ড হাতিলের চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান বলেছেন, ‘আমাদের মতো যেসব প্রতিষ্ঠান সব ক্ষেত্রে নিয়মিত কর-ভ্যাট দেয়, তাদের ওপরই সবচেয়ে বেশি চাপ। যারা কর-ভ্যাট দেয় না, তাদের দিকে কেউ যায় না। এ পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্তি চাই।’

অন্যান্য দাবি

ইস্ট কোস্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান তানজিল চৌধুরী বলেন, গত ১০ বছরে কোনো নীতি করার আগে কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। এখন আলোচনা হচ্ছে, এটা ভালো দিক। দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেতৃত্বে ডিজিটাল মুদ্রা আনা যেতে পারে। অনেক দেশ এটা চালু করেছে। তিনি আরও বলেন, দেশে নিয়ন্ত্রক সংস্থার যে অবস্থা, তাতে ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসতে ভয় পায়।

ক্রেডিট কার্ডে ঋণে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন। তিনি বলেন, ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নিতে হলে রিটার্ন জমা দিতে হয়। তবে ব্যক্তিগত ভোক্তাঋণ নিলে রিটার্ন জমা দিতে হয় না। এর ফলে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়ছে না। দেশে মাত্র ২৫ লাখ কার্ড রয়েছে। ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক এক কোটি হওয়া উচিত।

সিটি ব্যাংকের এমডি বলেন, ব্যক্তির ওপর ভ্যাটের চাপ বাড়িয়ে অর্থনীতির গতি বাড়ানো যাবে না। অর্থনীতির গতি ও করের আওতা বাড়িয়ে সরকারের আয় বাড়াতে হবে। এতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, অর্থনীতিও ভালো থাকবে।

এসিআই লজিস্টিকের এমডি সাব্বির হাসান নাসির বলেন, ‘চেইন সুপারশপের ওপর বিদ্যমান ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়। ৩৩ শতাংশ মূল্য সংযোজন হলেই কেবল ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হবে। কিন্তু আমরা যেসব পণ্য বিক্রি করি, তাতে ১৫-২০ শতাংশের মূল্য সংযোজন হয় না। এই ধরনের বৈষম্য দূর করা উচিত।’

বিকাশ লিমিটেডের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর বলেন, প্রায়ই অভিযোগ করা হয়, বিকাশের এজেন্টরা কর দেয় না। কিন্তু বিকাশের এজেন্ট এ ব্যবসার পাশাপাশি অন্য ব্যবসাও করেন। বিকাশের এজেন্টের কর বিকাশ ঠিকই দিয়ে দেয়। কিন্তু অন্য ব্যবসার খবর এনবিআর নেয় না। এ বিষয়ে এনবিআরকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করেন তিনি।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত ঋণ (পারসোনাল লোন) ও ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হয় প্রবন্ধে। ডিজিটাল লেনদেনে ৫ শতাংশ প্রণোদনার সুপারিশ করেন তিনি। এর মধ্যে ৩ শতাংশ পাবেন গ্রাহক এবং ২ শতাংশ পাবেন এজেন্ট।

এনবিআর চেয়ারম্যানের আশ্বাস

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আবদুর রহমান খান বলেন, ‘করদাতারা আমাদের ডিম পাড়া মুরগি। একবারে ধরে সব ডিম নিতে গেলে ওই মুরগি মরে যাবে। আমি কর কর্মকর্তাদের বলেছি, আইনকানুন মেনে যাঁরা নিয়মিত কর দেন, করের জন্য তাঁদের পেইন (ব্যথা) দাও, কিন্তু কিল (মেরে) করো না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কর কর্মকর্তারা যদি ব্যবসায়ীদের সক্ষমতার চেয়ে বেশি কর আরোপ করেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কি বাপ-দাদার জমি বিক্রি করে কর দেবেন?’ তিনি জানান, ‘আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদের চাপ দেব না। প্রয়োজনে ভ্যাটের হার কমিয়ে দেব।’

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর হেড অব অনলাইন শওকত হোসেন। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ, বাণিজ্য সম্পাদক সুজয় মহাজন প্রমুখ।