আবারও সেই জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া সেরা করদাতা

কাউছ মিয়াফাইল ছবি

দেশের অনেক বড় ব্যবসায়ীকে পেছনে ফেলে সেরা করদাতা হয়েছেন পুরান ঢাকার জর্দা ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া। তিনি হাকিমপুরী জর্দা প্রস্তুতকারী কোম্পানির স্বত্বাধিকারী। ২০২২-২৩ করবর্ষে ‘ব্যবসায়ী’ শ্রেণিতে এই ব্যবসায়ী সেরা করদাতার সম্মাননা পেয়েছেন। ফলে টানা ১৫ বছর সেরা করদাতা নির্বাচিত হলেন এই প্রবীণ ব্যবসায়ী।

মো. কাউছ মিয়া গত বছর ‘সিনিয়র সিটিজেন বা বয়স্ক নাগরিক’ শ্রেণিতে সেরা করদাতা হয়েছিলেন। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২০-২১ করবর্ষে মুজিব বর্ষের সেরা করদাতাও হয়েছিলেন তিনি। ওই বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাঁকে এই সম্মাননা দিয়েছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গত ২০২২-২৩ করবর্ষে সেরা করদাতা হিসেবে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড বা কর কার্ড দেবে। এর মধ্যে রয়েছে ৭৬ ব্যক্তি, ৫৪ প্রতিষ্ঠান ও ১১টি অন্যান্য শ্রেণিতে। আজ মঙ্গলবার বিভিন্ন ক্যাটাগরি বা শ্রেণিতে বছরের সেরা করদাতাদের তালিকা প্রকাশ করেছে এনবিআর।

২০২২-২৩ করবর্ষে ‘ব্যবসায়ী’ শ্রেণিতে হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী কাউছ মিয়া ছাড়া কর কার্ড পেয়েছেন গাজী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মূর্তজা, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম আশরাফুল আলম ও চেয়ারম্যান এস এম শাসছুল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম।

কাউছ মিয়া ১৯৫৮ সালে কর দেওয়া শুরু করেন। ২০১৯ সালে এনবিআরের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘আগে টাকাপয়সা এখানে-সেখানে রাখতাম। এতে নানা ঝামেলা ও ঝুঁকি থাকত। ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দিয়ে “ফ্রি” হয়ে গেলাম। এরপর সব টাকাপয়সা ব্যাংকে রাখতে শুরু করলাম। হিসাব-নিকাশ পরিষ্কার করে রাখলাম।’

এর আগে ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এক নম্বর করদাতা হয়েছিলেন কাউছ মিয়া। গুলশান-বনানী কিংবা মতিঝিলে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত চেম্বার নেই কাউছ মিয়ার। পুরান ঢাকার আগা নওয়াব দেউড়ি রোডে হাকিমপুরী জর্দার কারখানার একটি কক্ষই তাঁর ‘চেম্বার’। গুলশান-বনানী, মতিঝিলের ডাকসাইটে ব্যবসায়ীদের পেছনে ফেলে পুরান ঢাকার ঘুপচি গলির এ ব্যবসায়ী প্রতিবছর সর্বোচ্চ করদাতা হন। ২০০৮ সাল থেকে তিনি সর্বোচ্চ করদাতা হচ্ছেন।