আবার ৪০ হাজার পেরোল বিটকয়েনের দাম

বিটকয়েন

ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের পালে আবারও হাওয়া লাগল। শুক্রবার সবচেয়ে জনপ্রিয় এই ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য আবারও ৪০ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। কিছুদিন আগেই এর দাম ৩৭ হাজার ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।

বৈশ্বিক শেয়ারবাজার মন্দাভাব কাটিয়ে ওঠার পরই বিটকয়েনের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। কয়েক বছর ধরেই বিটকয়েনের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গত বছরের অক্টোবর মাসে বিটকয়েনের দাম ৬৫ হাজার ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় কোনো দেশের অর্থব্যবস্থা, আর্থিক নীতিমালা, মুদ্রাস্ফীতির হার বা অর্থনৈতিক উন্নয়নের মতো বিষয় বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে না। বিটকয়েনের মূল্য নির্ধারণে যে বিষয়গুলো প্রভাব ফেলে, সেগুলো হলো বিটকয়েনের চাহিদা ও জোগান, মাইনিংয়ের মাধ্যমে বিটকয়েন তৈরির খরচ, ব্লকচেইনে লেনদেন যাচাইয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক, প্রচলিত বিটকয়েনের পরিমাণ, যে মাধ্যমে বিনিময় হয়, বিটকয়েনে লেনদেনে বিভিন্ন রাষ্ট্রের বিধিনিষেধ, বিটকয়েনের অভ্যন্তরীণ পরিচালনব্যবস্থা ইত্যাদি।

এ ছাড়া শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক যখন ঘোষণা দিলেন, তিনি বিটকয়েনে বিনিয়োগ করবেন, তখনো বিটকয়েনের দাম অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আবার কোনো দেশ যখন বিটকয়েনকে স্বীকৃতি দেয়, তখনো এর দাম বাড়ে।

বিটকয়েনের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন বাজারে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা ছাড়ার কথা ভাবছে। চীন ইতিমধ্যে ডিজিটাল ইউয়ান ছেড়েছে। ভারতও ডিজিটাল রুপি চালুর ঘোষণা দিয়েছে।

এ ছাড়া শেয়ারবাজারে নথিভুক্ত হয়েছে ডিজিটাল মুদ্রার (ক্রিপ্টোকারেন্সি) এক্সচেঞ্জ। গত বছরের এপ্রিল মাসে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে নথিভুক্ত হয়েছে কয়েনবেস গ্লোবাল। নথিভুক্তির সময় তাদের মোট শেয়ারমূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৯ হাজার ১০০ কোটি ডলার।

২০০৮-০৯ সালের বিশ্ব মন্দা ও এর পরবর্তী জমানায় প্রথম প্রচারে আসে ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন। সাতোশি নাকামোতো এর জনক হিসেবে পরিচিত। এর আগে এক প্রবন্ধে অবশ্য বিটকয়েন চেনা গিয়েছিল। তবে কে এই নাকামোতো, তা আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। প্রথমে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির (পিয়ার-টু-পিয়ার) মধ্যে লেনদেন দিয়ে এর সূচনা হলেও পরবর্তীকালে বাণিজ্যিক কাজে তার ব্যবহার বাড়তে থাকে। বাজারে আসে আরও অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি।