ক্রেতাদের রেস্তোরাঁয় বসিয়ে খাওয়াতে চান মালিকেরা

সরকারি বিধি নিষেধে রেস্তোরাঁ খোলা, তবে কেউ সেখানে বসে খেতে পারবেন না।
সংগৃহীত

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিধিনিষেধের মধ্যে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার পার্সেল আকারে বিক্রি করার দাবি করেছেন বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা। এ ছাড়া ১১ এপ্রিলের পর লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হলে হোটেল-রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার অর্ধেক আসনে ক্রেতাদের বসিয়ে খাওয়াতে চান তাঁরা।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান গতকাল মঙ্গলবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়। এতে দাবি করা হয়, গত বছর করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে ৩০ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। অনেক মালিক সর্বস্বান্ত হয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছেন। গত রোজায় হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক কোনো ব্যবসা করতে পারেননি। এই খাতের ৩০ লাখ শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এদিকে বর্তমানে করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আবার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। গত ২৯ মার্চ সরকারের প্রজ্ঞাপনে ১৮ দফা নির্দেশনায় বলা হয়, হোটেল–রেস্তোরাঁয় ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশের অধিক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে।

তবে ৪ এপ্রিলের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাবারের দোকানে বসে খাওয়া যাবে না, কেবল পার্সেল আকারে খাবার বিক্রি করা যাবে। সেই প্রজ্ঞাপনে কোনো সময়সীমা উল্লেখ না থাকায় একেক জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একেক ধরনের ব্যাখ্যা দিচ্ছে। এমনটা উল্লেখ করে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে খাবার পার্সেল আকারে বিক্রি করার দাবি জানায় সমিতি।

পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মতো অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কমিশন সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। সংগঠনের নেতারা বলছেন, ‘পরপর দুই বছর হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসা খারাপ। প্রণোদনা ছাড়া বাঁচা যাবে না। আমাদের বাঁচতে দিন। সহজ শর্তে বিনা জামানতে ঋণ ব্যবস্থা করুন।’ তা ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশে ৯৮ শতাংশ হোটেল-রেস্তোরাঁ ভবন ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে। তাই ভাড়া মওকুফের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা দেওয়ার দাবি করেছেন সমিতির নেতারা।