গাজীপুরে শাওমির স্মার্টফোন সংযোজনের কারখানা চালু

রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে শাওমির স্মার্টফোন সংযোজন কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
ছবি: শাওমি বাংলাদেশের সৌজন্যে

দেশের ভেতরে স্মার্টফোন সংযোজন কারখানা স্থাপনের তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হলো শাওমি। চীনা এই প্রতিষ্ঠানের জন্য স্মার্টফোন সংযোজন করবে ডিবিজি টেকনোলজি বিডি লিমিটেড। গাজীপুরের ভোগড়ায় ৫৫ হাজার বর্গফুট আয়তনের কারাখানাটিতে বছরে ৩০ লাখ স্মার্টফোন উৎপাদন করবে শাওমি বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে কারখানাটিতে শাওমি ব্র্যান্ডের রেডমি সিরিজের স্মার্টফোন সংযোজন শুরু হয়েছে।

রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে শাওমির স্মার্টফোন সংযোজন কারখানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র প্রমুখ।

ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, শাওমি বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড। ভারত, চীন ও ভিয়েতনামে উৎপাদিত স্মার্টফোনের মতোই একই মানসম্পন্ন স্মার্টফোন বাংলাদেশের কারখানাতেও তৈরি হবে। এ জন্য এক কোটি মার্কিন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ পরিকল্পনা রয়েছে। ধাপে ধাপে এক হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হবে। তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে লাইফস্টাইল পণ্য, বিশেষ করে স্মার্ট জুতা রপ্তানির হাব হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে শাওমি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান
ছবি: শাওমি বাংলাদেশের সৌজন্যে

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘শুধু স্মার্টফোন নয়, সব ধরনের প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশকে হাব বানান। এখান থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করুন।’ শাওমি বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ কর্মী বাংলাদেশি, এমন তথ্য জেনে প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ২০০৪ সালে স্যামসাং বাংলাদেশে ১০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। তবে তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের অসহযোগিতা ও অনৈতিক প্রস্তাবের কারণে তারা বিনিয়োগটি সরিয়ে নেয়। ২০০৭ সালে স্যামসাং সেই বিনিয়োগ করে ভিয়েতনামে। গত বছর পর্যন্ত ভিয়েতনামে স্যামসাংয়ের কারখানায় ১ লাখ ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাদের কারখানা থেকে রপ্তানির পরিমাণ ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলার। স্যামসাংয়ের বিনিয়োগটি সে সময়ে এলে আজকে বাংলাদেশের চেহারা অন্য রকম হতে পারত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জুনাইদ আহ্‌মেদ বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে স্মার্টফোনের ৯৪টি খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। বর্তমানে ১৫৪টি খুচরা যন্ত্রাংশে আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ। সে জন্যই দেশে একের পর এক স্মার্টফোন সংযোজন কারখানা হচ্ছে। দেশের বাজারে বছরে চার কোটি মুঠোফোনের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে ৭০ শতাংশই বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে।