নিজেদের মতো করে পুনরুদ্ধার করতে হবে

মহামারির ধাক্কা সামলাতে উন্নত দেশগুলো ঋণ করে জনগণকে টাকা দিচ্ছে। মূলত ভোগের চক্র ঠিক রাখতেই তারা এটা করছে। এই প্রক্রিয়ায় তারা দ্রুত প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে বলে আশা করছে। কিন্তু সব দেশ তা এভাবে করে উঠতে পারবে না।

গতকাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেমের ‘কোভিড ১৯ পুনরুদ্ধার: পরিপ্রেক্ষিত ও বাস্তবতা’ শীর্ষক তিন দিনব্যাপী ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনের প্রথম দিনে বক্তারা এসব কথা বলেন। দিনের দ্বিতীয় অধিবেশনে মূল বক্তব্য দেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ল্যান্ট প্রিচেট।

উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো টিকাদানে অনেক পিছিয়ে আছে। ফলে সেখানে একধরনের অনিশ্চয়তা আছে। সে জন্য উন্নত দেশগুলোর মতো তাদের পক্ষে বিপুল ঋণ নেওয়া সম্ভব নয়। তাদের নিজেদের মতো করে প্রবৃদ্ধিসহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে মত দেন ল্যান্ট প্রিচেট।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মত দেন অর্থনীতিবিদ ও সিপিডির চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, সংকট মোকাবিলা নির্ভর করে মূলত একটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর। সেই দেশটি কী রপ্তানি করে, কোথায় রপ্তানি করে, কোন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করে, তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করে। পূর্ব এশীয় দেশগুলোর প্রধান বাণিজ্য অংশীদার চীন। ফলে ২০০৭-০৮ সালের আর্থিক সংকট তাদের অতটা স্পর্শ করেনি।

দেশে সুশাসনের অভাব থাকা সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে যে ধারাবাহিকতা দেখিয়েছে, তা উন্নয়নজগতে বিস্ময় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তবে ল্যান্ট প্রিচেট মনে করেন, রাতারাতি নিয়মতান্ত্রিকতা কায়েম করা যাবে না। এতে বিপর্যয় নেমে আসবে। ভালো আইন বরং দুর্নীতির সুযোগ তৈরি করে বলে তাঁর মত। কারণ, সেই আইন বাস্তবায়নের সক্ষমতা না থাকলে কাজ সারতে মানুষ অনিয়মের দ্বারস্থ হয়।